হবিগঞ্জে মেধায় পুলিশের চাকুরী পেলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধির পুত্র

    0
    220

    এ  ছাড়াও এতিম যুবকসহ দরিদ্র পরিবারের ২ কন্যা

    ফারুক মিয়াঃ   ‘কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণ ৯৭ জনের কারো বাবা কৃষক, শ্রমিক, কারো বাবা আইসক্রীম বিক্রেতা, ফল বিক্রেতা, কারো বাবা মিস্ত্রী। আবার কারো বিধবা মা শ্রমিকের কাজ করে সন্তানকে মানুষ করেছে। কেউ আবার নিজেই টিউশনি করে বা শ্রমিকের কাজ করে অথবা ভ্যান চালানোর পাশা-পাশি চালিয়েছে পড়াশুনা। এরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও মেধার দিক দিয়ে এগিয়ে। এদের চোখে আছে দেশ সেবার স্বপ্ন। এরা অদম্য, চায় শত বাঁধার মুখেও এগিয়ে যেতে। এরা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হতে চায়’।

    কথা গুলো বলেছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।

    গত রবিবার বিকেল ৪ টায় পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠিত ২০১৯ সালে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় চুড়ান্ত উত্তীর্ণদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তর হতে আগত ২ জন পর্যবেক্ষক, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা হতে আগত ২ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং আমার সমন্বয়ে গঠিত নিয়োগ বোর্ডের শ্রম, ধৈর্য্য ও মেধার ফসল উত্তীর্ণ এ প্রার্থীরা।

    প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডি.আই.জি ও অতিরিক্ত ডি.আই.জি’র প্রেরণা আমাদেরকে সাহস জুগিয়েছে। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। উত্তীর্ণদের জন্য দোয়া ও আশির্বাদ করছি, তারা যেন ভবিষ্যতে কর্মস্থলে ন্যায় ও নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারে’। সংবাদ সম্মেলনে উত্তীর্ণদের অনেক অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন। অভিভাবকরা প্রধানমন্ত্রী এবং পুলিশ সুপারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরে উত্তীর্ণদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই হতে ৭ জুলাই পর্যন্ত ২০১৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পথ পরিক্রমা পাড়ি দিয়ে হবিগঞ্জ জেলা থেকে বিভিন্ন কোটায় কনস্টেবল পদে ৯৭ জন নারী-পুরুষ চুড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন।

    এদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা পুরুষ কোটায় ২৯ জন, মুক্তিযোদ্ধা নারী কোটায় ৪ জন, সাধারণ পুরুষ কোটায় ২০ জন, সাধারণ নারী কোটায় ৩৪ জন ও অন্যান্য কোটায় ১০ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে রয়েছে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাগ গ্রামের মৃত দুর্গা চরন দেবের দরিদ্র দুই জমজ কন্যা রুমা রানী দেব ও রুনা রানী দেব। এ ছাড়াও চুনারুঘাট উপজেলার আব্দুর রহিমপুর গ্রামের অন্ধ কদ্দুছ আলীর পুত্র সুমন আহমেদসহ ২ জন এতিম যুবক।