“হবিগঞ্জের খাদেমের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ” সংবাদের প্রতিবাদ

    0
    206

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,আগস্ট :গত ১৬ আগস্ট আমার সিলেট ২৪.কম ও গত ১৭ আগস্ট দৈনিক হবিগঞ্জের জননীয় পত্রিকায় আমার ই-মেইল আইডি চুরি করে তা থেকে আমার নাম দিয়ে একটি ভূয়া সংবাদ কে বা কাহারা পোস্ট করে। উক্ত সংবাদটি আমার সিলেট ২৪.কম পত্রিকায়(হবিগঞ্জের খাদেম সফিকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ) শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। উক্ত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে চুনারুঘাটে এক খাদেমের তান্ডবে ও দুর্নীতিতে মুড়ারবন্দ গ্রামবাসী অতিষ্ট ও দরগাহের পাশে অবস্থিত জমে মসজিদ নিয়ে আত্মসাত ও দূর্নীতির কারণে মুড়ারবন্দ মাজারের খাদেম সফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

    উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর। সৈয়দ সফিক আহমেদের প্রতিপক্ষের লোকজন গোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা হল- মসজিদ ঈদগাহ ও মাদ্রাসার ২২৪, ২২২৫ ও ২২২৬ দাগের জায়গার মালিক মোছাঃ খাদিজা বানু ১৯৪২ সালে ১৩৮৬৬ নাম্বারে ওয়াক্ফ ষ্ট্রেট করে সমস্ত জায়গা মুড়ারবন্দ মাজার মসজিদের ঈদগাহের নামে দলিল করে দেন।

    উক্ত দলিলে ওয়াক্ফে আওলাদের নামে পরবর্তীতে ওয়ারিশান মূলে দেখাশুনার দায়ভার থাকিবে বলে উল্লেখ্য। এর ধারাবাহিকতায় ওয়াক্ফে আওলাদ ওয়ারিশান হিসাবে আমাদের নামে জরিপ পর্চা রেকর্ডভূক্ত করা হয়েছে। যা এস.এ রেকর্ড যাচাই করলে সত্যতা পাওয়া যাবে। উনাকে জড়িয়ে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি পর্চা জালিয়াতি করছেন? প্রশ্ন হল তাহার জায়গা তিনি কেন জালিয়াতি করবেন।

    একটি কুচক্রীমহল মাজারের ও মসজিদের পবিত্রতা, পরিবেশ নষ্ট করার জন্য উঠে পরে লেগেছে। ২০১০ সালে সৈয়দ নেছার আহমেদ প্রকাশ ভিংরাজ মিয়া বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সৈয়দ সফিক আহমেদ গংদের উপর স্বত্ব মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলাগুলি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দেন। তাহাকে বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসনের অফিস থেকে ১৩/১১/২০০৮ সাল মোতাওয়াল্লী হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়।

    বর্তমানেও তিনি এই দায়িত্বে সরকারি ভাবে বহাল আছেন। উনার চাচা সৈয়দ নুর আহমেদ পূর্বে মোতাওয়াল্লী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এর পূর্বে উনার বাবা সৈয়দ সাঈদ আহমেদ মোতাওয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তারপরও উনার প্রতিপক্ষের লোকজন ওয়াক্ফে আওলাদের উপর বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা বানোয়াট মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করিয়া ওলী আউলিয়াদের পবিত্র মাজার ও মসজিদের সম্মানহানি করিতেছে।

    উক্ত মাজারে একদল দুষ্ট ব্যক্তিরা মাজার এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে। তিনি তার প্রতিবাদ করলেই তারা তাহার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া বিভিন্নভাবে হয়রানী করছে। সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশ্যে করে বলছি- আমাদের বিষয় নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করার পূর্বে একটু যাচাই-বাছাই করে নিবেন। আমার ই-মেইল থেকে যে মিথ্যা সংবাদটি পোষ্ট করা হয়েছে তা আমি ই-মেইল করি নাই। আমার আইডি পাসওয়ার্ড চুরি করে কে বা কাহারা প্রকাশিত মাজারের মোতাওয়াল্লী সৈয়দ সফিক আহমেদকে জড়িয়ে যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার কাছে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি তাই আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

     প্রতিবাদকারী

    মোঃ ফারুক মিয়া

    সাংবাদিক