স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে পাল্টা আঘাতে মাঠে নামছে স্বাধীনতা সপক্ষের সকল শক্তি

    0
    229

    আমারসিলেট24ডটকম,১ডিসেম্বরঃ সারা দেশে আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন হবে।এদিন থেকেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে পাল্টা আঘাতে মাঠে নামছে স্বাধীনতা সপক্ষের সকল শক্তি। চলতি বছরের শুরু থেকেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার শুরু হয়। এর পর থেকেই দেশজুড়ে বিভিন্ন ধরনের নাশকতা শুরু করেছে স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দল যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলাম ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। তাদের হামলায় ইতিমধ্যে দেশজুড়ে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়ে প্রায় সহ্রসাধিক যানবাহন। বিপুলসংখ্যক বাড়িঘর ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানেও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আক্রমণ করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। দেশের মানুষ এর প্রতিকার চায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতেই বিজয় দিবস থেকেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির মোকাবেলায় মাঠে নামছে স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি।
    এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থবির। সার্বিক অর্থনীতি পঙ্গু হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ আর সহ্য করতে রাজি নয়। এ প্রেক্ষিতে গত দুদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে একদিকে যেমন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার তীব্র দাবি উঠছে, পাশাপাশি তাদের প্রতিরোধেও সভা সমাবেশ ও মিছিল করছে স্বাধীনতা সপক্ষের শক্তিগুলোর পেছনে সাধারণ মানুষ। স্বাধীনতাবিরোধীদের মোকাবেলায় সরকারের মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অস্ত্র ফেরত চেয়েছে। সব মিলিয়ে দেশ এখন এক আদর্শিক যুদ্ধের মুখোমুখি।
    স্বাধীনতার পক্ষেবিপক্ষে এ লড়াই স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি আর মার খেতে রাজি নয়। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে তারা স্বাধীনতা বিরোধীদের আর স্থান দিতে রাজি নয়। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে পাল্টা প্রস্তুতি নিতে শুরু হয়েছে। অন্যদিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও স্বাধীনতা বিরোধীদের মোকাবেলার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
    আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ও তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। তাদের নাশকতায় দেশের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সহ্যের সীমার বাইরে চলে গেছে। এখন সময় এসেছে পাল্টা আঘাতের। এ লক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পর থেকে যেখানেই আঘাত, সেখানেই পাল্টা আঘাতের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ স্বাধীনতার পক্ষের সকল রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
    ইতিপূর্বে গতকাল শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাও বিরোধী জোটের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, অনেক সহ্য করেছি, আর করা হবে না। সহিংসতা হলে আমরাও জবাব দিতে জানি, দমন করতে জানি।
    এর জের ধরে আজ আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, জামায়াত ও তার সহযোগী বিএনপি স্বাধীন বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তারা করছে। তারা এদেশকে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মতো তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে। একের পর এক হামলা চালিয়ে তারা এদেশের সম্পদ ও স্বাধীনতার স্মারকগুলো ধ্বংস করে চলেছে। তাদের এতো অপকর্ম সত্ত্বেও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিগুলো ধৈর্য্য ধারণ করছে। কিন্তু এ ধৈর্য্য ধারণকে স্বাধীনতা বিরোধীরা দুর্বলতা মনে করছে। কিন্তু আদতে তা নয়। এখন তারা এর পাল্টা জবাব পাবে।
    ইতিমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিগুলো স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ও তাদের সহযোগী বিএনপিকে প্রতিরোধ করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জামায়াত নেতা কসাই কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর থেকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বেপরোয়াভাবে দেশজুড়ে নাশকতায় লিপ্ত হয়েছে।
    এর জবাবে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ফেনী শহরে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় ও জামায়াত নিয়ন্ত্রিত আল জামিয়াতুল ফালাহিয়া মাদ্রাসায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে শান্তিকামী মানুষ। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতের দুই নেতার মালিকানাধীন একটি মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকানও। এর মাধ্যমেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। এখন থেকে তা অব্যাহত থাকবেবলে জানা যায়।সুত্রঃএবিএন