স্বতন্ত্র বা জোটবদ্ধ নির্বাচন করার ভাবনা জামায়াতের

    0
    218

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২০অক্টোবরঃ দলীয় প্রতীক এবং দলীয় পরিচয়ে নির্বাচন করতে না পারলে স্বতন্ত্র অথবা জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে জামায়াত। স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচন দলীয়ভাবে আয়োজনে সরকারি উদ্যোগের প্রেক্ষিতে এ দুই ধরনের নির্বাচনী কৌশল নিয়ে চিন্তা করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।

    জামায়াত নেতারা বলছেন, দলীয় প্রতীক এবং পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ঘোষণায় স্বতন্ত্র অথবা জোটবদ্ধ প্রার্থী হওয়া যাবে না- এমন কথা বলা হয়নি। সুতরাং জামায়াতের নেতাকর্মী সমর্থকদের নির্বাচনের বাইরে রাখার কোন সুযোগ নেই। যেকোনো উপায়ে যেকোনো ব্যানারে জামায়াত নির্বাচনে যেতে চায়। তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি বলে জানান মাঠপর্যায়ের তিন নেতা। ওদিকে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান স্থানীয় সরকারের সকল স্তরে দলীয় প্রতীক ও দলীয় মনোনয়নের ভিত্তিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দুরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন।

     সব নির্বাচন দলীয় প্রতীকে- ১২ অক্টোবর সরকার তরফে এমন ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এ পর্যন্ত কোন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের সব স্তরে ব্যালট ডাকাতির প্রহসনের নির্বাচন করে দলীয় লোকদের বসিয়েছে সরকার। গোটা প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। জেলাগুলোতে দলীয় প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। এ অবস্থায় দলীয় প্রতীকে ও দলীয় মনোনয়নের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার আশা করা যায় না।

    তিনি বলেন, এর ফলে এমপি, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের যে বিজয়ী ঘোষণা করবে তাতে কোন সন্দেহ  নেই। সরকারি দলের নেতারা রিটার্নিং অফিসারের ওপর অবাঞ্ছিত চাপ প্রয়োগে বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করবে। এমনকি আওয়ামী লীগের লোকেরা পুলিশ প্রশাসনকে অবৈধভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে বিরোধী দলের প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে দেবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা।

    এদিকে ঢাকা মহানগর জামায়াতের দুই নেতা বলেন, শেষ পর্যন্ত দলীয়ভাবে এই নির্বাচন হলে এবং তাতে যে কোন ব্যানারে অংশ নিলে জামায়াতের লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না। তাদের মতে, প্রায় সাত বছর রাজনৈতিক প্রতিকূলতায় কোণঠাসা জামায়াত প্রকাশ্যে, গোপনে, ঘরে-বাইরে সভা সমাবেশ করতে পারছে না। পারছে না নিরাপদে একটি ঝটিকা মিছিল করতেও। এ পর্যায়ে স্থানীয় সরকার হলে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণসহ নানা ইস্যুতে দলের নেতাকর্মী সমর্থকরা সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। যা মাঠ রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর সহায়ক হবে।
    তারা বলেন, সরকার রাজনীতিকে আবদ্ধ করে রেখেছে। দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ একটি জাতীয় নির্বাচনের দাবি উপেক্ষা করে চলেছে। স্থানীয় নির্বাচনে মানুষ সরকারের সেসব কর্মের জবাব দেবে। এক্ষেত্রে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীরা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে দাবি করে জামায়াত নেতারা বলেন, ক্ষমতার টানাপড়েনে সরকার দলীয় প্রার্থীরা পরস্পর হানাহানিসহ নানা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়বে। জামায়াতের ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত প্রার্থী ঠিক করে রাখা হয়েছে বলে জানান দলের দায়িত্বশীল এক তরুণ নেতা।
    সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে টানা চার বছর জামায়াতের মগবাজার কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে মহানগর, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে প্রায় সব কার্যালয় বন্ধ। পুলিশ এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হামলা মামলার ভয়ে ঘরে বাইরে কোথাও সভা-সমাবেশ করতে পারছে না দলটি। গোপনে ঘরোয়া সভা করতে গিয়েও বারবার ধরা পড়ছেন দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মী সমর্থক। এ ধরনের সর্বশেষ ঘটনা ঘটে গত ২রা আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। এখানে এক ঘরোয়া সভা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জামায়াতের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সিনিয়র নেতা নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ১৩ নেতাকর্মীকে। এ পর্যায়ে সভাসমাবেশ এবং ঘরোয়া বৈঠকের কর্মসূচি বাদ দিয়ে ফেসবুক, স্কাইপিসহ তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর কর্মতৎপরতার দিকে ঝুঁকছে তারা। এর মাধ্যমে সরকারবিরোধী জনমত গঠন, কর্মী সমর্থক সংগ্রহ, সর্বস্তরের নেতাকর্মী সমর্থকদের সংগঠিত করা, সর্বোপরি তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখার কাজ করছেন দায়িত্বশীলরা। এ পর্যায়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খানিকটা বন্ধনমুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবেন মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মী সমর্থকরা- এমন অভিমত সংশ্লিষ্টদের। এ প্রসঙ্গে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ড. রেজাউল করিম বলেন, পর পর দুই বিদেশী নাগরিক হত্যা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট, মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, শিক্ষক আন্দোলনসহ জনগণ সম্পৃক্ত বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক সব আন্দোলনে আমাদের একাত্মতা আগের মতোই আছে। সাধ্যমতো নানা কর্মসূচিও পালন করছি। তবে সরকার দেশের পুরো রাজনীতিকে অবরুদ্ধ করে রাখায় অনেক কিছুই হয়তো দৃশ্যমান হচ্ছে না।
    তিনি বলেন, একটা বিষয় বর্তমানে বেশ পরিষ্কার। তা হলো, সরকারবিরোধী আন্দোলনে কেবল ২০ দলীয় জোট নয়, এখন দেশের ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষও জড়িয়ে পড়েছেন। এসব আন্দোলনের সঙ্গে যোগ হয়েছে জাতীয় স্বার্থ। তাই সরকার ক্রমশ খাপছাড়া হয়ে পড়ছে। এখান থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারবে না তারা। সরকার একমাত্র বিরোধী রাজনীতি ছাড়া রাষ্ট্রযন্ত্রের কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন শিবিরের সাবেক এই সভাপতি।
    ঢাকা মহানগর জামায়াতের এক তরুণ সদস্য বলেন, সরকার সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। তবে কারও সঙ্গে কারও কথা বলা বন্ধ করতে পারেনি। কে কখন কার সঙ্গে কথা বলছে, কীভাবে কথা বলছে, কী কথা বলছে, এসব কিছু মনিটরিং বা নিয়ন্ত্রণ করা কখনও সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মী সমর্থকরা ওয়ান টু ওয়ান সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কয়েক লাখ লোকের কাছে জামায়াতের দাওয়াত পৌঁছেছে দাবি করে তরুণ এই নেতা বলেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াতের দাওয়াতি কাজে গতিসঞ্চার হবে। দেশের এক কোটি লোক নানাভাবে জামায়াতের সঙ্গে জড়িত দাবি করে তিনি বলেন, এসব লোককে দেশ থেকে বের করে দেয়া যাবে না। মেরে ফেলাও যাবে না। আটকে রাখা যাবে না জেলে। এরা সুযোগ পেলেই তাদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হবে। মতামত ব্যক্ত করবেই।- মানবজমিন

    দলীয় প্রতীক এবং দলীয় পরিচয়ে নির্বাচন করতে না পারলে স্বতন্ত্র অথবা জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে জামায়াত। স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচন দলীয়ভাবে আয়োজনে সরকারি উদ্যোগের প্রেক্ষিতে এ দুই ধরনের নির্বাচনী কৌশল নিয়ে চিন্তা করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।
    জামায়াত নেতারা বলছেন, দলীয় প্রতীক এবং পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ঘোষণায় স্বতন্ত্র অথবা জোটবদ্ধ প্রার্থী হওয়া যাবে না- এমন কথা বলা হয়নি। সুতরাং জামায়াতের নেতাকর্মী সমর্থকদের নির্বাচনের বাইরে রাখার কোন সুযোগ নেই। যেকোনো উপায়ে যেকোনো ব্যানারে জামায়াত নির্বাচনে যেতে চায়। তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি বলে জানান মাঠপর্যায়ের তিন নেতা। ওদিকে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান স্থানীয় সরকারের সকল স্তরে দলীয় প্রতীক ও দলীয় মনোনয়নের ভিত্তিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দুরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন।

    সব নির্বাচন দলীয় প্রতীকে- ১২ অক্টোবর সরকার তরফে এমন ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এ পর্যন্ত কোন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের সব স্তরে ব্যালট ডাকাতির প্রহসনের নির্বাচন করে দলীয় লোকদের বসিয়েছে সরকার। গোটা প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। জেলাগুলোতে দলীয় প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। এ অবস্থায় দলীয় প্রতীকে ও দলীয় মনোনয়নের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার আশা করা যায় না।

    তিনি বলেন, এর ফলে এমপি, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের যে বিজয়ী ঘোষণা করবে তাতে কোন সন্দেহ  নেই। সরকারি দলের নেতারা রিটার্নিং অফিসারের ওপর অবাঞ্ছিত চাপ প্রয়োগে বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করবে। এমনকি আওয়ামী লীগের লোকেরা পুলিশ প্রশাসনকে অবৈধভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে বিরোধী দলের প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে দেবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা।

    এদিকে ঢাকা মহানগর জামায়াতের দুই নেতা বলেন, শেষ পর্যন্ত দলীয়ভাবে এই নির্বাচন হলে এবং তাতে যে কোন ব্যানারে অংশ নিলে জামায়াতের লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না। তাদের মতে, প্রায় সাত বছর রাজনৈতিক প্রতিকূলতায় কোণঠাসা জামায়াত প্রকাশ্যে, গোপনে, ঘরে-বাইরে সভা সমাবেশ করতে পারছে না। পারছে না নিরাপদে একটি ঝটিকা মিছিল করতেও। এ পর্যায়ে স্থানীয় সরকার হলে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণসহ নানা ইস্যুতে দলের নেতাকর্মী সমর্থকরা সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। যা মাঠ রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর সহায়ক হবে।
    তারা বলেন, সরকার রাজনীতিকে আবদ্ধ করে রেখেছে। দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ একটি জাতীয় নির্বাচনের দাবি উপেক্ষা করে চলেছে। স্থানীয় নির্বাচনে মানুষ সরকারের সেসব কর্মের জবাব দেবে। এক্ষেত্রে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীরা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে দাবি করে জামায়াত নেতারা বলেন, ক্ষমতার টানাপড়েনে সরকার দলীয় প্রার্থীরা পরস্পর হানাহানিসহ নানা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়বে। জামায়াতের ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত প্রার্থী ঠিক করে রাখা হয়েছে বলে জানান দলের দায়িত্বশীল এক তরুণ নেতা।
    সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে টানা চার বছর জামায়াতের মগবাজার কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে মহানগর, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে প্রায় সব কার্যালয় বন্ধ। পুলিশ এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হামলা মামলার ভয়ে ঘরে বাইরে কোথাও সভা-সমাবেশ করতে পারছে না দলটি। গোপনে ঘরোয়া সভা করতে গিয়েও বারবার ধরা পড়ছেন দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মী সমর্থক। এ ধরনের সর্বশেষ ঘটনা ঘটে গত ২রা আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। এখানে এক ঘরোয়া সভা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জামায়াতের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সিনিয়র নেতা নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ১৩ নেতাকর্মীকে। এ পর্যায়ে সভাসমাবেশ এবং ঘরোয়া বৈঠকের কর্মসূচি বাদ দিয়ে ফেসবুক, স্কাইপিসহ তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর কর্মতৎপরতার দিকে ঝুঁকছে তারা। এর মাধ্যমে সরকারবিরোধী জনমত গঠন, কর্মী সমর্থক সংগ্রহ, সর্বস্তরের নেতাকর্মী সমর্থকদের সংগঠিত করা, সর্বোপরি তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখার কাজ করছেন দায়িত্বশীলরা। এ পর্যায়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খানিকটা বন্ধনমুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবেন মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মী সমর্থকরা- এমন অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
    এ প্রসঙ্গে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ড. রেজাউল করিম বলেন, পর পর দুই বিদেশী নাগরিক হত্যা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট, মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, শিক্ষক আন্দোলনসহ জনগণ সম্পৃক্ত বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক সব আন্দোলনে আমাদের একাত্মতা আগের মতোই আছে। সাধ্যমতো নানা কর্মসূচিও পালন করছি। তবে সরকার দেশের পুরো রাজনীতিকে অবরুদ্ধ করে রাখায় অনেক কিছুই হয়তো দৃশ্যমান হচ্ছে না।
    তিনি বলেন, একটা বিষয় বর্তমানে বেশ পরিষ্কার। তা হলো, সরকারবিরোধী আন্দোলনে কেবল ২০ দলীয় জোট নয়, এখন দেশের ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষও জড়িয়ে পড়েছেন। এসব আন্দোলনের সঙ্গে যোগ হয়েছে জাতীয় স্বার্থ। তাই সরকার ক্রমশ খাপছাড়া হয়ে পড়ছে। এখান থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারবে না তারা। সরকার একমাত্র বিরোধী রাজনীতি ছাড়া রাষ্ট্রযন্ত্রের কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন শিবিরের সাবেক এই সভাপতি।
    ঢাকা মহানগর জামায়াতের এক তরুণ সদস্য বলেন, সরকার সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। তবে কারও সঙ্গে কারও কথা বলা বন্ধ করতে পারেনি। কে কখন কার সঙ্গে কথা বলছে, কীভাবে কথা বলছে, কী কথা বলছে, এসব কিছু মনিটরিং বা নিয়ন্ত্রণ করা কখনও সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মী সমর্থকরা ওয়ান টু ওয়ান সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কয়েক লাখ লোকের কাছে জামায়াতের দাওয়াত পৌঁছেছে দাবি করে তরুণ এই নেতা বলেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াতের দাওয়াতি কাজে গতিসঞ্চার হবে। দেশের এক কোটি লোক নানাভাবে জামায়াতের সঙ্গে জড়িত দাবি করে তিনি বলেন, এসব লোককে দেশ থেকে বের করে দেয়া যাবে না। মেরে ফেলাও যাবে না। আটকে রাখা যাবে না জেলে। এরা সুযোগ পেলেই তাদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হবে। মতামত ব্যক্ত করবেই। সুত্রঃ মানবজমিন