স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবেই হওয়া উচিতঃজয়

    0
    235

    আমারসিলেট24ডটকম,১৯মার্চঃ দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবেই হওয়া উচিত,বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন,কেননা পৃথিবীর কোনো দেশেই নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন হতে দেখিনি আমি।নরওয়ে, জার্মানি ও ডেনমার্কে দুই দিনের রোড শোতে অংশ নিতে আজ বুধবার সকালে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়ার আগে জয় এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান।

    উল্লেখ্য,এর আগে রংপুর সফরকালেও জয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করার পক্ষে মত দেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও একই মত দিয়েছেন। জয় বলেন,আমি পৃথিবীর কোনো দেশেই নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন হতে দেখিনি।কেবল বাংলাদেশেই হয়। যথাশিগগিরই দলীয়ভাবেই নির্বাচন করার ব্যবস্থা রাখা উচিত বলে মনে করি।
    আইসিটি সেক্টরে গত পাঁচ বছরে ১০ গুণ রপ্তানি বেড়েছে দাবি করে জয় বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল গত পাঁচ বছরে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত হবে আইসিটি সেক্টর। পাঁচ বছর আগেও এ দেশের আইসিটি রপ্তানির পরিমাণ ছিল মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলার যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ২০০ মিলিয়ন ডলারে। আমরা চাই আগামী পাঁচ বছরে এটি আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’ জয় বলেন, দেশে তরুণদের জোয়ার চলছে। এই তরুণরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশে এখন তরুণরা মন্ত্রী হচ্ছেন, সংসদ সদস্য হচ্ছেন এবং উদ্যোক্তা হচ্ছেন। সামনের দিনে তরুণদের ঢেউ আসছে। তারাই দেশকে এগিয়ে নেবে।
    শামীম আহসান জানান, অসলোতে একটি সেমিনারে বাংলাদেশের আইসিটি পণ্য ও শিল্পের ওপর একটি উপস্থাপনা প্রদর্শন করবেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সেখানে আইটি খাতের ৩০০ জন বিনিয়োগকারী থাকবেন এবং বেসিসেরও একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত থাকবে। শামীম আহসান আরো জানান, সেমিনারের আগে মঙ্গলবার রাতে গণমুখী এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আইসিটি নীতিমালা নিয়ে সরাসরি মতবিনিময় করবেন জয়।
    দেশ ও জাতির ভাগ্য-ভবিষ্যৎ নির্ধারণ এবং নীতিমালা প্রণয়নে সরাসরি তারুণ্যসহ সব শ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)। রাষ্ট্র চালনায় নাগরিকের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরো সুসংহত করার জন্য রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নীতিমালা প্রণয়নের সঙ্গে তরুণ উদ্যোক্তা, আইসিটি বিশেষজ্ঞ এবং পেশাজীবীদের মতামতকে সরাসরি সম্পৃক্ত করতে প্রথমবারের মতো এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।