আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬অক্টোবর,এম এ কাদের: হবিগঞ্জের মাধবপুরে গলায় শিকল পেছিয়ে খুন করে নুরুল ইসলামকে। প্রথমে এ খুনের সন্দেহ মূলক হিসেবে নিহতের স্ত্রী আম্বিয়াকে আটক করে পরে তার সুত্র থেকে শাহানা (২৫) শাবানা (২২) ও রেজিয়াকে (২৭) আটক করে মাধবপুর পুলিশ।আটক কৃতদের থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্যে নিজ স্ত্রীর পরকিয়া সম্পর্ক দেখে ফেলায় বলী হলেন নুরুল ইসলাম, জানান মাধবপুর থানার ছাতিয়ান পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আব্দুল আওয়াল।
জানা যায় নিহতের স্ত্রীর সাথে একই এলাকায় ভাড়াটে থাকা রঙ্গু মিয়ার দীর্ঘ দিনের পরকিয়া চলছে ।ঘটনার দিন হথাৎ করে নুরুল ইসলাম তার স্ত্রীর বাসায় চলে আসলে- রঙ্গু ও স্ত্রীর খারাপ সম্পর্ক তার কাছে ধরা পরে যায়। ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তার স্ত্রী আম্বিয়া, রঙ্গু মিয়া ও রিক্সা চালক ফারুক মিয়া মিলে শিকল দিয়ে পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ ফারুক মিয়ার রিক্সায় করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়। আটক রেজিয়ার স্বামী ফারুক মিয়া পালিয়েছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়-হবিগঞ্জের মাধবপুরের নোয়াপাড়ায় সায়হাম গ্রুপে চাকুরীরত ছিলেন নুরুল ইসলামের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন, ভাড়াটিয়া বাসায় থাকতেন তিনি। নুরুল ইসলাম প্রাণ গ্রুপে চাকরি করার জন্য রোববার দিবাগত রাত্রে তার স্ত্রী কাছে ভোটার আইডি নিতে আসেন। সোমবার সকালে তার লাশ পাওয়া যায় ঢাকা -সিলেট মহাসড়কে সংলগ্নে নোয়াপাড়া বাসষ্ট্যান এর পশ্চিম পার্শে (খড়কি রাস্তায়)। তার কাছে ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া যায় এতেই তার পরিচয় মিলে।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠায়।এ খবর পেয়ে তার আত্মীয় স্বজন এসে মাধবপুর থানায় অভিযোগ করলে এস আই আব্দুল আওয়াল, নুরুল ইসলামের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য থানায় আটক রেখে জিজ্ঞাসা করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসে । আপডেট
