সৌদি থেকে দেশে ফিরছেন বহু নির্যাতিত নারী শ্রমিক

    0
    235
    আমারসিলেট  টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৫জুন,মিজনুর রহমান,সৌদি আরব থেকেঃ শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে সৌদি থেকে দেশে ফিরছেন শত শত নারী শ্রমিক।সৌদি আরবের রিয়াদ সহ, দাম্মাম সহ বিভিন্ন শহরের জেল থেকে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরছেন এসব  নিপীড়িত নারী কর্মীরা।  চলতি মাস জুড়ে দুই শতাধিক নির্যাতিত নারী ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সহায়তায় দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তা আল-আমীন।
    তিনি জানান, অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে আশ্রয় নেন এসব নারীরা।রিয়াদের বাংলাদেশি দূতাবাস এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অয়েজ অার্নার্স কল্যাণ বোর্ডের আর্থিক সহায়তায় এই নারী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। গত সপ্তাহে দেশে ফিরে যাওয়া নারী শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন রূপগঞ্জের সাথী, ভোলার জোসনা, কেরানীগঞ্জের মল্লিকা, বরগুনার শাহনাজ, কক্সবাজারের শাকিলা, দিনাজপুরের মনজুরা বেগম, ফরিদপুরের মাজেদা বেগম, নওগার শম্পা প্রমুখ।এসব নির্যাতিত নারীরা জানান, সৌদি আরবে প্রতিনিয়ত তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। বিভিন্ন বাসায় আটকে রেখে ইলেকট্রিক শক দেয়ার পাশাপাশি রড গরম করে ছ্যাঁকা পর্যন্ত দেয়া হয়। ঠিকভাবে খাবার ও পানি দেয়া হতো না। এদের একজন দিনাজপুরের মনজুরা বেগম বলেন, ‘আমার  ইজ্জত-সম্মান সব দিয়ে এসেছি সৌদিতে।
    মালিকের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে প্রথমে পালিয়ে বাংলাদেশের দূতাবাসে যাই। এরপর দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পাস দিয়ে দেশে আসি।’
    উল্লেখ্য, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য মতে, ২০১৭ সালে অভিবাসী নারীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ১৯ হাজার ৯২৫ জন, যা মোট অভিবাসন সংখ্যার ১৩ শতাংশ।
    ১৯৯১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত অভিবাসন প্রত্যাশী নারী শ্রমিককে একা অভিবাসনে যেতে বাধা দেয়া হলেও পরবর্তীতে ২০০৩ এবং ২০০৬ সালে কিছুটা শিথিল করা হয়। ২০০৪ সালের পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নারী শ্রমিকের অভিবাসন হার ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা দাঁড়ায় মোট অভিবাসনের ১৯ শতাংশে।
    প্রশ্ন হচ্ছে এমন নির্মম দৃশ্য দেখে ও কেন অহরহ বাংলাদশী নারী শ্রমিকরা সৌদিতে আসছে। কেনই বা বাংলাদেশর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন। বাংলাদেশীদের মতো আর কোন দেশের গৃহকর্মী আসছেনা কিংবা আসলে ও এমন নির্যাতিত হচ্ছে না। বর্তমান বাংলাদেশের কিছু সংখ্যক বেপরোয়া ট্র্যাভেল্স এজেন্সি ও গ্রামগন্জের কিছু অদক্ষ নির্বোধ দালালদের খপ্পরে পরে গ্রামের নিরীহ মহিলারা।
    দালালরা বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে তাদের সহায় সম্বল ব্যয় করে গৃহকর্মীর ভিসা দেয়। প্রবাস নামের সোনার হরিন ধরা তো হয়নি বরং শারীরিক নির্যাাতনের চিহৃসহ তাদের ইজ্জত বিক্রি করে চেড়া কাপড় পড়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে।
    এমতাবস্হায় বাংলাদেশ সরকারের শ্রম মন্ত্রনায় ও সৌদি আরবে অবস্হানরহত দুতাবাস কর্মকর্তাদের বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে অচিরেই বাংলাদেশ থেকে অসাধু উপায়ে গৃহকর্মী সৌদি প্রবেশ বন্দ করার দাবী জানিয়েছেন এখানে অবস্হানরত প্রবাসী পুরুষ শ্রমিকগন।