মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম
আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩১ডিসেম্বর,জহিরুল ইসলামঃ সৌদি আরবে মো: জমির মিয়া (৩৬) নামে বাংলাদেশী এক শ্রমিককে ঘুমন্ত অবস্থায় গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ হত্যার সংবাদে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নিহতের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহত শ্রমিকের বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের পূর্বভানুবিল গ্রামে।
তার পরিবারিক সুত্রে জানাযায়, গত বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫ টায় সৌদি আরবের জিসাসে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সৌদি প্রবাসী, আদমপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভানুবিল গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে। সে দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ধরে সৌদিআরবের তয়েফের মাজরা গার্ডেনে কাজ করতেন। তিনি কাজ করে যে বেতন পেতেন তা দিয়ে স্ত্রী, দুই সন্তান ও মায়ের ভরন পোষন চলতো। শোকে মাতম জমির মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী নিয়মিত ফোনে কথা বলতেন, বাড়ির খবরা খবর রাখতেন। সৌদি আরবে যে আরবীর কাজ করতেন সেই আরবী ও আরবীর ভাগিনার সাথে তার বিরোধ ছিল বলে বিভিন্ন সময়ে ফোনে বলতেন। আরবীর পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই বুধবার আরবীর ভাগিনা ধারালো ছুরি নিয়ে ঘুমন্তবস্থায় তার স্বামী জমির মিয়াকে গলা কেটে হত্যা করেছে। হত্যার পরও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে।
সৌদি আরবে তাদের নিকটাত্মীয় ও স্বামীর সাথে থাকা লোকজন এসব বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী। বর্তমানে জমির মিয়ার লাশ তায়েফের ইকফাল শিশু হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তিনি স্বামী হত্যার বিচার এবং লাশ দেশে পাঠানোর জন্য সরকারের দৃষ্টি আর্কশন করেছেন।
এব্যাপারে কমলগঞ্জ আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাব্বির আহমদ ভুইয়া ঘনটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন পরিবারটি খুবই গরীব। নিহত জমিরের পাঠানো অর্থ দিয়েই তার পরিবার চলতো। এখন তার পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, সরকার সহায়তা না করলে সৌদি আরব থেকে তার লাশ দেশে ফেরত আনা সম্ভব হবেনা।
