সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মধ্যে হবে মুল লড়াই

0
568
সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মধ্যে হবে মুল লড়াই
সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মধ্যে হবে মুল লড়াই

খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জঃ আর মাত্র তিন দিন পর নারায়ণঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ এখন উৎসবের নগরী। ভোটযুদ্ধ হবে মূলত: আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের মধ্যে। সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং তৈমুর আলম খন্দকার মঙ্গলবার ১১ ডিসেম্বর তাদের প্রচারাভিযানে পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। অবশ্য অপর ৫ মেয়র প্রার্থীও থেমে নেই। তারাও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে নগরবাসীর অভিমত, এ ভোটযুদ্ধে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকারের জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টর হতে নারী ভোটাররা।

এই সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি প্রচার চালাচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুরের হাতি প্রতীকের প্রচারে এখন সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো সিটি এলাকা। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম অভিযোগ করেছেন নির্বাচনী মাঠে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই। অপরদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচনী মাঠে প্লেইং ফিল্ড ঠিকই আছে। এটা তৈমুর আলম খন্দকারের কৌশল ও চাল বলে অভিহিত করেছেন মেয়র প্রার্থী ডাক্তার আইভী। মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আইভীর পক্ষে শহরে মুক্তিযোদ্ধারা র‌্যালি বের করেন।
এছাড়াও জেলা ও মহানগর আওয়ী লীগ ও তার সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীও ডাক্তার আইভীর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। অপরদিকে স্বতন্ত্র

মেয়র প্রার্থী তৈমুরের পক্ষে পরিবারের সদস্যসহ নেতাকর্মীরা প্রচার চালান। দুই হেভিওয়ে প্রার্থী মঙ্গলবার সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন। মেয়র প্রার্থী ডাক্তার আইভী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দিয়েছেন। আমার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্বাচনের মাঠে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই।

জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দিয়েছেন- আইভীঃ-

নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী মঙ্গলবার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খানপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। সেখানে তিনি ভোটারদের কাছে ভোট চান। এ সময় ভোটাররা তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি বিকেলে ১৭নং ওয়ার্ডে গিয়েও প্রচার চালান। ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী এ সময় গণমাধ্যমকে বলেন, আমাকে জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার জনগণ আমার কাজ দেখেছে। আমাকে বিগত ১৮ বছর ধরে দেখছে। আমার বিশ^াস আমাকেই তারা ভোট দিবে। অলরেডি ভোটাররা নির্ধারণ করে ফেলেছে কাকে তারা ভোট দেবে আর কাকে ভোট দেবে না। মুখ্য বিষয় হলো দল আমাকে নমিনেশন দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ বরাবরই আমাকে সাপোর্ট দিয়ে এসেছেন। ইনশাল্লাহ নির্বাচন পর্যন্ত আমার সঙ্গে থাকবে এবং নির্বাচনের পরেও জনগণ আমার সঙ্গেই থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, কোথাও আমি প্রভাব বিস্তার করিনি। আমার এ অভ্যাসও নেই। নারায়ণগঞ্জের মানুষ দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আমাকে দেখছে। আমি যা বলি প্রকাশ্যেই বলি। হোন্ডাবাহিনীর ও কিশোরগ্যাংয়ের কথা বলেছি। কিন্তু তৈমুর কাকা কোন নেতাকর্মীর কথা বলেননি। সুতরাং এখানে প্রভাব বিস্তারের কোন প্রশ্নই ওঠে না। লেভেল প্লেইং ফিন্ড প্রসঙ্গে ডাক্তার আইভী বলেন, লেভেল প্লেইং ফিন্ড এখনও ঠিক আছে। উনিও (তৈমুর) প্রচার চালাচ্ছেন। আমিও প্রচার চালাচ্ছি। কিন্তু এর বাইরে কি হচ্ছে তা আমি জানি না। জানতেও চাই না। আমি এই মুহূর্তে জনগণকে নিয়ে আছি। জনগণের কাছে ভোট চাচ্ছি এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। এটাই এখন আমার প্রধান কাজ। আরেক প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের মানুষ জানে প্রভাব বিস্তার করার মতো আমার লোকবলও নেই, প্রশাসনও নেই। প্রশাসন কখনই আমাকে সেভাবে সাহায্য করেনি। হঠাৎ করে প্রশাসন এখন আমাকে সাহায্য করবে আমি তা বিশ^াস করি না।

তিনি বলেন, এখন অপর প্রার্থী কি অভিযোগ করেছে তা আমার দেখার বিষয় নয়। আমি এই মুহূর্তে ভোটের ময়দানে আছি। উনিও আছেন। ওনার নেতাকর্মীরাও ভোটের মাঠে আছেন। ওনি আমার চেয়ে দাপটের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। যা আমি মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছি। তা হলে ওনি কেন এ অভিযোগ করবেন। সেটা তার নতুন কোন চাল কিনা তাও আমি জানি না। হতে পারে এটা ওনার কোন কৌশল বা চাল। শামীম ওসমান প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ওনি বিধি মোতাবেক সিটি নির্বাচনে প্রচারে নামতে পারবেন না। বিধি মোতাবেক উনি একজন সংসদ সদস্য। আরেক প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, যেভাবে আমার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাতে কি মনে করেন ভোটের আর চারদিন বাকি আছে? আর কাউকে লাগবে। আমাকে ভোটারদের নিয়ে থাকতে দিন। আমি ভোটারদের নিয়েই থাকতে চাই।

নির্বাচনী মাঠে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই- তৈমুরঃ-

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার মঙ্গলবার সকাল থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের শহরের মিশনপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। পরে তিনি ১৯নং ওয়ার্ডে গিয়েও প্রচার চালান। তৈমুর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি শঙ্কিত হব না কেন? নেতাকর্মীদের বাড়িতে যখন পুলিশ হামলা করে। এজেন্টকে যখন পুলিশ ধরে নিয়ে যায় হেফাজতের মামলায়, তখন তো শঙ্কা সৃষ্টি হবেই। তিনি বলেন, ভাই-বোনকে জিজ্ঞেস করে নির্বাচনে দাঁড়াইনি। তারা এক দলেরই লোক। তাদের মধ্যে বিভাজন পরিষ্কার হয়ে গেছে। আমরা মামলা খেয়ে খেয়ে এবং গ্রেফতার হয়ে হয়ে ঐক্যবদ্ধ (ইউনাইটেট) হয়ে গেছি।

তৈমুর বলেন, এতদিন জনগণ প্রার্থী পায়নি, আমরাও রাজি হইনি। এখন আমরা রাজি হয়েছি, জনগণ মনের মতো প্রার্থী পেয়েছে। যে প্রার্থী সব সময় জনতার থাকবে। তৈমুর বলেন, কার নামে ওয়ারেন্ট নেই? বিএনপি চেয়ারপার্সন নিজে জেলে আছেন। তারেক রহমানও তো ওয়ারেন্ট নিয়েই বিদেশে আছেন। কে মামলার মধ্যে নেই। মনিরুল ইসলাম রবি করে বিএনপি, তাকে ধরা হয়েছে হেফাজতের মামলায়। হেফাজতের লোকেরাই তো প্রধানমন্ত্রীকে কওমি জননীর উপাধি দিয়েছে। এখন গোলযোগ হেফাজতের সঙ্গে আর মামলা খায় বিএনপি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তৈমুর বলেন, রাজপথেই থাকব। জনগণের সঙ্গে আর কত বেইমানি করব।

২০১১ সালের সিটি নির্বাচনে বসে গিয়ে জনগণের চোখের পানি ফেলিয়েছি। ২০১৬ সালে ইচ্ছে করে সিটি নির্বাচনে দাঁড়াইনি। তখনও জনগণের সঙ্গে বেইমানি করেছি। সদর থানা নির্বাচনী ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম বলেন, নির্বাচনী মাঠে প্লেইং ফিল্ড নেই। নির্বাচনী মাঠে সমান সুযোগ নেই। একজন সম্মানিত মেহমান বলেছেন, তৈমুরকে মাঠে নামতে দেয়া হবে না। আরেকজন সম্মানিত নেতা অতি দায়িত্বশীল তিনি বলেছেন, তৈমুর ঘুঘু দেখেছে ফাঁদ দেখেনি। তিনি ২৪ ঘণ্টায় আমাকে রেজাল্ট দেখানোর কথা বলেছেন।

এ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আমি ঘুঘু ও ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি আমার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক। তার হাতে দায়িত্ব ছিল এজেন্ট ও নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ পরিচালনা ও সহযোগিতা করা। তাকে আগে গ্রেফতার করা হলো না। আমি যেদিন মনোনয়ন কিনেছিলাম সেদিন তিনি পাশে ছিলেন, যেদিন জমা দেই সেদিনও ছিলেন, যেদিন বাছাই হয় সেদিনও রবি পাশে ছিলেন। মার্কার দিনও তারা সাথে ছিলেন। তখন তাকে গ্রেফতার করা হয় নাই। এখন গ্রেফতার করা হলো। তৈমুর বলেন, জনগণ যে রায় দেবে, সেই রায় আমরা মাথা পেতে নেব এবং জনগণের রায়ই চূড়ান্ত রায়।


নতুন ও নারী ভোটাররা জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টর হতে পারেঃ-

এবাবের নির্বাচনে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন ভোটার রয়েছেন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৯ জন পুরুষ ভোটার ও ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৭ জন নারী ভোটার রয়েছেন। ২০১৬ সালের সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ ভোট। এবার নতুন ভোটার বেড়েছে ৪২ হাজার ৪শ’ ২৬ জন। এ নতুন ভোটার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টর হতে পারে অভিজ্ঞমহল মনে করছেন। এদিকে এ নির্বাচনে ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী একজন নারী। এ সিটিতে নারী ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৭ জন। নগরবাসী মনে করছেন, নারী ভোটাররাও মেয়র জয়-পরাজয়ে ফ্যাক্টর হতে পারে। সবমিলেই এখন চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।


আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আইভীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে বীর মুক্তিযোদ্ধারাঃ-

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নগরীর ২নং রেলগেটের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জড়ো হয়ে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিভক্ত হয়ে ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে ভোট চান। পরে তারা বঙ্গবন্ধু সড়কে র‌্যালি বের করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল বাহার টিপু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি। এর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, কোন ষড়যন্ত্রই আইভীর নৌকার বিজয় ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। জনননেত্রী শেখ হাসিনা আইভীকে নৌকা দিয়েছেন। আমাদের পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করা। আগামী ১৬ জানুয়ারি নৌকার বিজয় নিয়ে আমরা ঘরে ফিরব।
আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাঃ-

নাসিক নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ৪টি মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কোহিনুর আক্তার। সোমবার রাতে নাসিক সিদ্ধিরগঞ্জের ১ ও ২নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে গিয়ে তিনি এ জরিমানা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর আক্তার গণমাধ্যকে বলেন, ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি ও ১নং ওয়ার্ডের পাইনাদি এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষের লোকজন একাধিক মাইক ব্যবহার, নির্ধারিত মাপের চেয়ে বড় ব্যানার ও প্রতীক তৈরি, অনুমোদনহীন ক্যাম্প পরিচালনা, আলোকসজ্জাকরণ, ক্যাম্পে একাধিক সাউন্ডবক্স ব্যবহার করায় ৪টি মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর আক্তার নির্বাচনের প্রচারণায় সব প্রার্থীকে আচরণবিধি মেনে চলার কঠোর নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছি। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হবে না। আচরণবিধিমালায় যা যা আছে তার ব্যত্যয় হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।