সুশীল মাহমুদূর রহমান মান্নাকে গন ধোলাই !

    0
    213

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৪ফেব্রুয়ারী: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সোমবার গণমিছিল করার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণ দেখিয়ে তা স্থগিত করেছে নাগরিক ঐক্য।

    সোমবার বিকেলে ‘শান্তি ও সংলাপের দাবিতে গণমিছিল’ লেখা সম্বলিত একটি ব্যানার নিয়ে সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের এক থেকে দেড়শ’ নেতাকর্মী জড়ো হন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। কিন্তু গণমিছিল না করে নাগরিক ঐক্যের সহযোগী সংগঠন নাগরিক ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান তা স্থগিত করার ঘোষণা দেন।

    সংগঠনের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এই মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তারা উপস্থিত হতে পারবেন না বলে নিশ্চিত করে সংগঠনটি।

    এর আগে সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক সমাবেশে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন  বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম ঘোষণা দেন-মাহমুদুর রহমান মান্নাকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই গনধোলাই দেওয়া হবে।

    ঢাকসু’র দু’ দু’বারের নির্বাচিত ভিপি মান্নাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কুলাঙ্গার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তার সার্টিফিকেট বাজেয়াপ্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক।

    রোববার ইউটিউব ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে ভাইবারে মাহমুদুর রহমান মান্নার কথোপকথনের রেকর্ড ফাঁস হয়। কথোপকথনের এক পর্যায়ে মান্না আন্দোলন বেগবান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাশকতা ঘটানো ও লাশ ফেলার বিষয়ে খোকাকে পরামর্শ দেন বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

    তবে নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় মান্না  বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছন,  দেশের এই যুগসন্ধিক্ষণে কারও চরিত্র হননের কাজ এই সঙ্কটকে আরও ঘনীভুত করবে।  তিনি বলেন, সামগ্রিক ঘটনায় আমি বিস্মিত, দুঃখিত, মর্মাহত।অপরদিকে কথোপকথনের কথা স্বীকার ও করেছেন।

    ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না আশির দশকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর পদ হারান মান্না। এরপর নাগরিক ঐক্য নামে একটি দল গঠন করেন তিনি।

    ওদিকে, কথোপকথন ফাঁসের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেছেন, “মান্না সাহেব হচ্ছেন এদেশের নষ্ট রাজনীতির হোতা। চিরকালই তিনি নষ্ট রাজনীতি লালন করে এসেছেন। তিনি নাগরিক ঐক্যের মুখোশ পরে দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন এই ফোনালাপে তা প্রমাণিত হ‌‌‌য়েছে। জাতির সামনে তার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার সেটা নেয়া হবে।”

    দলের সাংগঠিনক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “মান্না সাহেব যেটা করেছেন তা সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড। তিনি যেটা করেছেন তা স্পষ্টতই রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। তার বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

    খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়া বলেন, দেশের কিছু কথিত সুশীল সমাজ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্নার ফোনালাপে তা প্রমাণ হয়েছে।