সুরঞ্জিত আচরণ বিধি লংঘন করছেনঃবিএনপির অভিযোগ

    0
    253

    আমারসিলেট24ডটকম,১২মার্চঃ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে হাওরাঞ্চলের দুই রাজনৈতিক নেতার জনপ্রিয়তার লড়াই চলছে। রাজনীতির দুই মেরুর দুই বাসিন্ধা দিরাই-শাল্লার সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং সাবেক সাংসদ নাছির উদ্দিন চৌধুরী বর্তমানে শাল্লায় অবস্থান করছেন। উপজেলা নির্বাচন দলীয় না হলেও শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং নাছির উদ্দিন চৌধুরী দলীয় প্যানেল ঘোষণা করে ভোটারের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। মঙ্গলবার বেলা ২ টায় দিরাই শাল্লার সাবেক সাংসদ, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলন করে সুরঞ্জিতসেন গুপ্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ তুলেন। এর আগে বিএনপি মনোনীত শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার সহকারী রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাল্লা বরাবরে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণ বিধি লংঘনের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
    সাংবাদিক সম্মেলনে নাছির উদ্দিন চৌধুরী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দিরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিরাই-শাল্লার এমপি বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দলীয় মনোনীত প্যানেল চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে চন্ডিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র দখল করে এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে ফলাফল পক্ষে আনতে ব্যর্থ হন। দিরাইর ভোটারা তাদের বিজয় চিনিয়ে নিতে দেয়নি। ‘শাল্লা বাচাঁও, সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই’ শ্লোগানকে সামনে রেখে শাল্লায় চলছে ভোটের প্রস্তুতি। সেই মুহুর্তে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একের পর এক নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে চলছেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তার মনোনীত চেয়ারম্যান, ভাইস, চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে উঠান বৈঠক, পথসভা ছাড়াও জনসভাকরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারী অনুদান প্রদান করে তাঁর প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইছেন। ইতোমধ্যে তিনি, বাহারা সুমেস্বরী মন্দিরে পাঁচ লক্ষ টাকা, শাল্লা গ্রামের মসজিদে চার লক্ষ, আছলম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে পয়ষট্টি লক্ষ, কার্তিকপুর কবরস্থানে দুই লক্ষ, মেঘনা পাড়ার দুর্গা মন্দিরে দুই লক্ষ, মন্নানপুর যুব সমাজ সমিতি পঞ্চাশ হাজার, কান্দখলা গ্রামে দশবান টিন ও পঞ্চাশ হাজার টাকা, ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারে দুটি টিউবওয়য়েল, দুইটি ল্যাট্রিন, দুইটি প্রস্তাবখানা সরকারী অনুদান প্রদান করে নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন। এছাড়াও তিনি আনন্দপুর জনসভায় বিদ্যুৎ দেওয়ার ওয়াদা করেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পুলিশ প্রটোকল, সরকারী ডাক বাংলা, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন হল নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করছেন। প্রশাসন এবং সরকারি পুলিশ বাহিনী দিয়ে তার মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছেন। যার ফলে শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাদ, সুষ্টু ও নিরপেক্ষ হবে কি না এ নিয়ে ভোটারদের মাঝে উৎকণ্টা বিরাজ করছে। শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ট ও নিরপেক্ষ করার জন্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী প্রশাসন, সাংবাদিক এবং সুশিল সমাজের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।