সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে ২৪৯টি স্কুল ও সড়ক পানিতে প্লাবিত

    0
    237

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ঢল ও বর্ষণে জেলার ৮উপজেলার অন্তত ১৯৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৬টি উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়/মাদ্রাসায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সাময়িকভাবে পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। আরো শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা। বৃষ্টিপাত বাড়তে থাকলে জেলা্র অধিকাংশ উপজেলার প্রাথমিক,উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মাদ্রাসা ও কলেজ বন্যায় কবলিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

    তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওর সংলগ্ন ছিলাই তাহিরপুর গ্রামের বাসীন্দা ও ছিলাই তাহিরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাদিউজ্জামান জানান,বন্যার পানি তার স্কুলে প্রবেশ করেছে। পানি বাড়ার কারনে শিক্ষার্থীরা স্কুলে একবারেই কম আসে। এক প্রকার বন্ধই স্কুল। এছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পানিতে ডুবে যাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্টানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
    বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান,আমার স্কুল একবারেই হাওরের মাঝে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্কুলে ছাত্ররা আসছে না পাঠ্যদান বন্ধ রয়েছে।
    তাহিরপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু সাঈদ বলেন,পাহাড়ি ঢলের কারণে যেসব বিদ্যালয় শিক্ষার্থীশূন্য হয়ে পড়েছে,সে সব বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ দায়িত্বশীল সব দফতরকে অবহিত করা হয়েছে।
    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে,পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে জেলার সদর উপজেলায় ২২টি,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ৩টি,ধর্মপাশা উপজেলায় ৫৯টি,তাহিরপুর উপজেলায় ৩০টি,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ২৭টি,দোয়াবাজার উপজেলায় ১৮টি,ছাতক উপজেলায় ১০টি এবং জামালগঞ্জ উপজেলায় ৩০টি বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলে আরো বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান।
    জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়,জেলার ৬টি উপজেলার অন্তত ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯টি,বিশ্বমম্ভরপুর উপজেলায় ১৭টি,জামালগঞ্জ উপজেলায় ৪টি,ধর্মপাশা উপজেলায় ২টি,দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১০টি এবং তাহিরপুর উপজেলায় ৮টি বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এই সব কয়টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও অনেক বিদ্যা প্রাঙ্গন ও রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে আসতে পারতেছেন শিক্ষার্থীরা বলে জানান তিনি।