সুনামগঞ্জে কয়লা ও ইয়াবা পাচাঁর নিয়ে সংঘর্ষে আহত-১০

    0
    289

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে চোরাই কয়লা ও ইয়াবা পাচাঁর নিয়ে চোরাচালানীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে আজ ১৯.১০.১৮ইং শুক্রবার সকাল ৮টায়।

    এব্যাপারে এলাকাবাসী জানায়,উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকার বড়ঘাট নামক ১টি গুহা দিয়ে প্রতিদিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী কয়লা ও মাদক পাঁচার মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া ও জানু মিয়া ১বস্তা কয়লা পাচাঁরের জন্য বালিয়াঘাট ক্যাম্প কমান্ডার দিলোয়ারের নামে ১২০টাকা,টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইমামের নামে ৫০টাকা ও কয়লা পাচাঁর মামলা নং-৯,জিআর-১৫৮/০৭ এর আসামী আব্দুর রাজ্জাক ৫০টাকা চাঁদা নিয়ে চোরাচালানী আকরম আলী,আমির আলী,নুর ইসলাম,খোকন মিয়া,রবি মিয়া,কাসেম মিয়া,কাজল মিয়া,বাবুল মিয়াগংকে ভারতে পাঠায় কয়লা ও ইয়াবা পাচাঁর করার জন্য।

    পরে রাত ৮টায় ভারত থেকে কয়লার বস্তার ভিতরে করে ইয়াবা চালান নিয়ে ফিরে আসার সময় পথে ভারতীয় বিএসএফ চোরাচালানীদের তাড়া করে। এসময় জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন জংগলে কয়লা ও ইয়াবা ভর্তি বস্তাগুলো ফেলে সবাই চলে আসে। পরবর্তীতে আজ ১৯.১০.১৮ইং শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় এক গ্রুপের লোকজন অন্যগ্রুপের লোকজনকে ফাঁকি দিয়ে ৩মে.টন কয়লা ও ইয়াবার চালান চুরি করে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত দুধেরআউটা গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী নয়ন মিয়া,মাদক ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া ও আংগুরী বেগমের বাড়িতে নিয়ে বিক্রি করে।

    এখবর সকাল ৮টায় প্রকাশ হওয়ার পর চোরাচালানী জানু মিয়ার গ্রুপের আকরম আলী,আমীর আলী ও কালাম মিয়া গ্রুপের কাজল মিয়া,বাবুল মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় আধাঘন্টা ব্যাপী এই সংঘর্ষের ঘটনায় চোরাচালানী কাজল মিয়া,মস্তফা মিয়া ও সোনা মিয়াসহ ১০জন আহত হয়েছে এবং তাদেরকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।

    এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের টেকেরঘাট কোম্পানীর বিজিবির কমান্ডার সুবেদার আনিসুর রহমান বলেন,আমি ছুটিতে ছিলাম,এবাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    উল্লেখ্য,এর আগে গত সোমবার সকাল ১০টায় টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত লাকমা বাজারে অস্ত্র পাচাঁর মামলার আসামী ল্যাংড়া বাবুল ও তার পার্টনার আশিকনুরের মধ্যে ইয়াবা বিক্রির টাকা নিয়ে সংঘর্ষ হলেও এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত আইনগত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।