সুনামগঞ্জে ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

    0
    371

    “ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও থানা ঘেরাও”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪এপ্রিল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ৩৪৫পিছ ইয়াবাসহ একাধিাক মামলার জামিনে থাকা আসামী সন্ত্রাসী হাবিব সারোয়ার আজাদ (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত বদ মিয়ার ছেলে। তার ফাঁসির দাবীতে আজ ১৪.০৪.১৮ইং শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলার বাদাঘাট বাজারে মানববন্ধন করেছে এলাকার ভুক্তভোগী হাজার হাজার জনসাধারণ। এঘটনার খবর পেয়ে দুপুর ১টায় সুনামগঞ্জ থেকে সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার সময় বাদাঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প ও বাদাঘাট বাজার ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল করে উত্তেজিত জনতা।া
    এব্যাপারে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,মাদক ব্যবসায়ী হাবিব সারোয়ার আজাদ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবা,হেরোইন,মদ,গাঁজার ব্যবসা করছে এবং সে নিজেও সেবন করছে। সেই সাথে নামে বেনামে করছে চাঁদাবাজি। তার অবৈধ কাজে কেউ বাঁধা দিলে ও প্রতিবাদ করলে তাকে করা হয় নির্যাতন। ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় মিথ্যা মামলায়। প্রতিদিনের মতো গতকাল ১৩.০৪.১৮ইং শুক্রবার রাত ৯টায় বাদাঘাট বাজার ও কামড়াবন্দ এলাকায় ইয়াবা বিক্রি শেষে চরগাঁও লতারকিত্তা নামকস্থানে যাওয়ার পর খবর পেয়ে এলাকাবাসী ৩৪৫পিছ ইয়াবাসহ হাবিব সারোয়ার আজাদকে হাতেনাতে আটক করে।

    এসময় সে মাতাল অবস্থায় এলাকার লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে এলাকাবাসী সংর্ঘবদ্ধ হয়ে তাকে গণধৌলাই দেয়। খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইদুর ও এএসআই পীযুষ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইয়াবাসহ মাতাল অবস্থা গ্রেফতার করলে তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় শিহাব সারোয়ার শিপুসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী বিন্নাকুলি বাজারে ইয়াবা বিক্রি করার সময় হাবিব সারোয়ার আজাদের ভাতিজা জুবায়ের শাহকে ৫০০পিছ ইয়াবাসহ র‌্যাব গ্রেফতার জেলহাজতে পাঠায়।

    এসময় আজাদ পালিয়ে যায়। এছাড়াও হাবিব সারোয়ার আজাদ নিজেকে সাংবাদিক ও র‌্যাব,পুলিশ,বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে তার একান্ত সহযোগী কয়লা চোরাচালান মামলার আসামী আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্য পাচাঁর করাসহ চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ৫বার গণধৌলাইয়ের শিকার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে ও থানায় চাঁদাবাজি ও চোরাচালান মামলা হয়েছে ১০টা। বর্তমানে হাবিব সারোয়ার আজাদ প্রধানমন্ত্রীর পোষ্টার পুরানো ও মূর্তি ভাংচুর মামলার জামিনে থাকা আসামী। এই মামলায় দীর্ঘদিন যাবত পলাতক থাকার পর সম্প্রতি আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসেই এলাকায় আবার মাদক ব্যবসা ও বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে।

    এব্যাপারে ব্যবসায়ী শাহ আলম,রফিকুল ইসলাম,রজব আলী,নোমান মিয়া,জাকির হেসেন,বিল্লাল হোসেন,কামাল মিয়া,জব্বার মিয়া,কামরুল ইসলামসহ আরো অনেকেই বলেন,ইয়াবা ব্যবসায়ী হাবিব সারোয়ার আজাদের অত্যাচারে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অতিষ্ট হয়েপড়েছে,আমরা তার ফাঁসি চাই। বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন,ছাত্রনেতা ঝুমুর তালুকদার,রাহাত হায়দার,জাবেদ,ইকবাল হোসেন বলেন,হাবিব সারোয়ার আজাদ প্রশাসনের নাম ভাংগিয়ে ওপেন চাঁদাবাজি ও মাদকের ব্যবসা করছে,তার কারণে এলাকার ছোট বড় সকলেই অতিষ্ট,আমরা তার দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্থি দাবী করছি।

    তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এলাকার লোকজন হাবিব সারোয়ার আজাদকে ইয়াবাসহ পুলিশে কাছে সোর্পদ করেছে,তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুনামগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুল্লাহ বলেন,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে পেয়েছি,উপরস্থ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।