সুনামগঞ্জে অবৈধ বোমা মেশিন ও ড্রেজার বন্ধে ধোপাজান নদীতে যৌথবাহিনীর ক্যাম্প করার দাবি

    0
    327

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২২জুলাই,মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া: সুনামগঞ্জ জেলা বারকি শ্রমিক সংঘ রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩৫৫ এর কার্যকরী কমিটির সভা থেকে পরিবেশ ধ্বংসকারী অবৈধ বোমা মেশিন ও ড্রেজার বন্ধ করতে ধোপাজান নদীতে যৌথবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার দাবি করা হয়। গত ২১ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্বম্ভপুর উপজেলার ধোপাযান চলতি নদী সংলগ্ন জিনারপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বারকি শ্রমিক সংঘের জেলা সভাপতি মোঃ নাছির মিয়া।

    সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রজত বিশ্বাস ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি বাদল সরকার। সভায় বক্তব্য রাখেন বারকি শ্রমিক সংঘের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক অদুদ মিয়া, প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবদুল কাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মন্নান, দপ্তর সম্পাদক রইছ মিয়া, সদস্য আবুল বাশার।

    সভায় বক্তারা বলেন দীর্ঘদিন যাবত বালি-পাথর উত্তোলন করতে না পারায় বারকি শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নদীতে বালি পাথর উত্তোলন ছাড়া বারকি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের বিকল্প কোন পথ নাই। শুধু বারকি শ্রমিক নয়, বালি-পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় লোড-আনলোড শ্রমিকসহ নদীর উপর নির্ভরশীল নানা পেশার জনগণের জীবিকা আজ সংকটের মুখে। অন্যদিকে প্রশাসনের নাকের ডগায় শত শত অবৈধ বোমা মেশিন ও ড্রেজার দিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করে বালি পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। জনগণের চাপের মুখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালানো হয়।

    কিন্তু অভিযানের পর পরই আবারও বোমা ও ড্রেজান চালানো শুরু হয়।এছাড়া রয়েলিটির নামে নামে-বেনামে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদাবাজি চলছে। সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন গত ১২ জেলা আইনশৃঙ্খালা কমিটির সভায় ধোপাজান নদীর মুখে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে যৌথবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত হলেও অদ্যাবধি তা কার্যকর হয়নি। বক্তারা অবৈধ বোমা মেশিন ও ড্রেজার বন্ধ করতে ধোপাজান নদীতে অভিলম্বে যৌথবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার দাবি করেন। সভায় আগামী ৭ আগষ্ট শ্রমিক সমাবেশ এবং ১২ আগষ্ট জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।