সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে

    0
    233

    বন্যা মোকাবেলায় সতর্ক রয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন 

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে মঙ্গলবার (৯জুলাই)রাত সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে। সতর্কবার্তায় বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ৪দিন অব্যাহত বর্ষন আর পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪১সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরন কেন্দ্র।
    সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে,ভারতের মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে সুনামগঞ্জে।

    গত তিন দিনের বর্ষণ ও ঢল অব্যাহত রয়েছে। রেকর্ড বৃষ্টিপাতে সুরমা,যাদুকাটা,সোমেশ্বরী,খাসিয়ামারা,চেলাসহ বিভিন্ন সীমান্ত নদ নদীর পানি বেড়েছে। প্রধান নদী সুরমার পানি বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪১সেঃমিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নিম্না লসহ বিভিন্ন স্থাপনা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ঘন্টায় ১৭৫মিঃ মিঃ রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে নিশ্চিত করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু বকর সিদ্দিক ভূঁইয়া।
    তিনি বলেন,প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রেকর্ড বৃষ্টিপাতে নদ নদীর পানি বেড়েছে এতে পানিবন্ধি হয়ে পরেছেন নিন্মা লের মানুষ। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত আছে। একারণে নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলা সদরসহ, বিশ্বম্ভরপুর,তাহিরপুর,দোয়ারাবাজার,ছাতক,জামালগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু অভ্যন্তরীন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে জেলার নিন্মা ল।
    শক্তিয়ারখলা গ্রামের বাসীন্দা কামাল হোসেনসহ অনেকেই জানান,পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর-আনোয়রপুর-আনোয়ারপুর-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রভাবিত হওয়ায় এই দুই উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। এই সড়কটির(দূর্গা অংশে)পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাত হলেই বর্ষা মওসুমে সাময়িক তলিয়ে যায়।
    আনোয়ারপুর গ্রামের জাকেরিন চমক জানান,তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় জেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ একবারেই বন্ধ রয়েছে। পানি বাড়ার কারনে নিন্মা লের মানুষ আতংকের মাঝে আছে।
    তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান,তাহিরপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ন তাহিরপুর-বাদাঘাট,বাদাঘাট সোহালা,বাদাঘাট-টেকেরঘাট-বাগলী সড়কও ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়াও তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক একাধিক স্থানে ভাঙ্গন ও পানিতে ডুবে যাওয়ার ফলে জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এতে করে জনজীবনে এসেছে দুর্ভোগ। আমার উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেক্ষে সর্তক অবস্থানে আছে সবাই।
    বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সকল উপজেলায় স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ধার টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় ৩হাজার ৭শ ৩৫প্যাকেট শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জেলা ও উপজেলার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকা ও সকল উপজেলায় মেডিক্যাল টিম গঠন করার জন্য সোমবার রাত ১১টায় নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।