সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট বেপরুয়া

    0
    212

    আমারসিলেট24ডটকম,১২মেসুনামগঞ্জের অর্থনীতি জোন হিসেবে পরিচিত তাহিরপুর। এখানে রয়েছে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী-রফতানীর ৩টি শুল্কষ্টেশন। রয়েছে বালি-নড়ি ও পাথরসহ খনিজ সম্পদে ভরপুর যাদুকাটা নদী। রয়েছে আয়ের আরো অনেক উৎস। এজন্য উপর মহল থেকে শুরু করে স্থানীয় চাঁদাবাজদের দৃষ্টি এখানে। সীমান্ত এলাকায় চাঁদাবাজদের রয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তারা নিজেদেরকে কখনো সংবাদপত্রের বড় সাংবাদিক আবার কখনো র‌্যাবের সোর্স কখনো বিজিবি সোর্স পরিচয় দিয়ে করে ওপেন চাঁদাবাজি। সেই সাথে এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রতিরাতে জুয়ার বোর্ড বসিয়ে ও সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে কয়লা,কাঠ, মদ,গাঁজা,হেরুইন,ইয়ারা পাচাঁর করে প্রতিদিন রোজগার করে হাজার হাজার টাকা। কিন্তু বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা,অনলাইন ও টেলিভিশন মিডিয়াতে একাধিক সংবাদ প্রকাশের কারণে বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। বন্ধ হয়ে যায় চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজি। অবৈধ চাঁদার টাকা না পেয়ে স্থানীয় চাঁদাবাজরাসহ তাদের গডফাদাররা দিশেহারা হয়ে বেপরোযা হয়ে উঠেছে। তাদের চাঁদাবাজি নিয়ে সংবাদ পরিবেশনকারী সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের নিরীহ সাংবাদিকদের হামলা-মামলা দিয়ে করছে হয়রানী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,তাহিরপুর সীমান্ত চোরাচালানী ও সন্ত্রাসী আজাদ,সাজ্জাদ,শহিদ,জিয়া ও তাদের ওপরের গডফাদার কর্তৃক সীমান্তের নদীপথে কয়লা পরিবহনকারী নৌকা-কার্গো ও বাংলা কয়লা থেকে চাঁদাবাজি,চোরাই পথে কয়লা,মদ,গাঁজা,হেরুইন,ইয়াবা পাচাঁর ও এলাকায় জুয়ারবোর্ড বসানো নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের হিসেবে দৈনিক মানবকণ্ঠ ও মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়ার কাছে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আজাদ ও সাজ্জাদ। চাঁদা না দেয়ায় তাকে মারধর করে ক্যামেরা,স্বর্ণের চেইন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় আজাদ ও সাজ্জাদসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে আরো ক্ষিপ্ত হয় তারা। দায়েরকৃত মামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে আজাদ তার গডফাদারদের পরামর্শে নিজের ছেলেকে দিয়ে নাটক সাজায়। খেলনার পিস্তলের গ্যাস ম্যাচের আগুনে দগ্ধ হওয়া ছেলেকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবস্থার করে সাংবাকি মোজাম্মেলকে আসাসী করে থানায় মিথ্যা এসিড মামলা দায়ের করে। কিন্তু তার ছেলের সহপাটিরাসহ এলাকার প্রত্যক্ষ লোকজন ও ডাক্তারের দেয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট এই সত্য ঘটনাটি প্রশাসনের কাছে ফাঁস করে দিয়েছে। একারণে কোন উপায় না পেয়ে আজাদ তার গডফাদারদের দিয়ে সাংবাদিক মোজাম্মেলের নামে বিভিন্ন মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে। উল্লেখ্য,আজাদ ও সাজ্জাদ কর্তৃক বিভিন্ন অফিস আদালতে দালালি,সীমান্তে চাঁদাবাজি, ইভটিজিং,চোরাচালানী,মদ-গাঁজা, হেরুইন,হুন্ডি বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সাংবাদিক রাজু আহমেদ রমজানকে তারা মারধর করে। এঘটনায় সাংবাদিক রাজু থানায় জিডি দিলে তাকে উল্টো চাদাঁবাজি,চুরি,ছিনতাইর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাহিরপুর থানায় মিথ্যা মামলা দেয়। পরে বিজ্ঞ আদালত জিআর ৫৪/১১মামলাটি খারিজ করে দেন। আজাদ তার ছেলেকে বাসায় বেধে রেখে সাজ্জাদকে বাদী করে ছাত্রলীগ নেতা হাসান আল-মামুনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণ মামলা দেয়। পরে পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে সত্য রিপোর্ট আদালতে পেশ করলে মামলাটি খারিজ করা হয়। এছাড়া স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীকে ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় আজাদ ও সাজ্জাদ শালিসে সবার হাতে পায়ে ধরে,নাকে খত দিয়ে রক্ষা পায়। যৌথবাহিনীর সময় উপজেলা সহকারী সেটেলম্যান্ট অফিসার মোহাম্মদ হোসেনকে নিয়ে এলাকার জমির মালিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা-পয়সা নেয়ার সময় ডিজিআইএফের সদস্যরা মোহাম্মদ হোসেনকে ঘুষসহ গ্রেফতার করলে আজাদ ও সাজ্জাদ পালিয়ে যায়। যাদুকাটা ও পাটলাই নদীতে চাঁদাবাজির ঘটনায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডা মুজাহিদ উদ্দিন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। স্থানীয় এক হিন্দু ছেলেকে বলৎকারের ঘটনায় আজাদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার ও জেলা মহিলা সংস্থায় অভিযোগ দেয় ক্ষতিগ্রস্থরা। সম্প্রতি আজাদ ও সাজ্জাদ নিজেদের বড় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভারতীয় রপ্তানী কারকের ২লক্ষ টাকার কয়লা আত্মসাতের ঘটনায় বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেয় ক্ষতিগ্রস্থ্য ভারতী এসির ম্যানেজার দিপু। সীমান্তের চানপুর ও বাদাঘাট চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধৌলাইয়ের শিকার হওয়াসহ তাদের বিরুদ্ধে হত্যা,যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু বিক্রি ও এলাকায় সন্ত্রাসীর ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।