সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে রাজস্ব ফাকিঁ দিয়ে গরুর হাট

    0
    768

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ও সরকারের রাজস্ব ফাকিঁ দিয়ে দুটি অবৈধ গরুর হাট বসিয়েছে প্রভাবশালী মহল। তারা আর্থিক ভাবে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হবে বৈধ ইজারাদারগন। এনিয়ে উপজেলার সচেতন মহল জুড়েই চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে সেই সাথে ইজারাদারদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

    জানা যায়,উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের শান্তিপুর ও জনতা বাজারে সরকারী ভাবে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই স্থানীয় প্রভাবশালী মহল গরুর হাট বসিয়ে। গত দু দিন ধরে বাজারও বেশ জমজমাট। তারা বাজারে নিজেদের মত করে অবৈধ গুরুর হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গরুর হাট বসানোর কারনে অন্যন্য বাজারের ইজারাদারগনের মাঝে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে। এছাড়াও উপজেলার বাদাঘাট বাজারের একটি বড় গুরুর হাট থাকার পরও তারা পাশা পাশি আরো দুটি অস্থায়ী বাজার বসায় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাদাঘাট বাজার গরুর হাটি। এতে করে আগামীতে বাদাঘাট বাজার ইজারা নিতে চাইবে না কেউই।

    তাহিরপুরে রাজস্ব ফাকিঁ দিয়ে গরুর হাটে গরু বিক্রির রশিদ।

    বাদাঘাট বাজারের ইজারাদার হুমায়ুন কবির ক্ষোভের সাথে জানান,বাদাঘাট বাজারটি আমরা সরকারী ভাবে সকল নিয়ম মেনে ইজারা আমরা এনেছি। এখন যদি এই বাজারের এক কিলোমিটার দূরে আরো দুটি বাজার বসায় আমি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হব। আর ক্ষতিগ্রস্থ হলে আগামীতে কেউই লাভের পরির্বতিতে ক্ষতি স্বীকার করে বাজার ইজারা নিবে না। আমি এই বিষয়ে দ্রুত সমাধান চেয়ে লিখিত ভাবে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছি। আমার ক্ষতি না করার জন্য ঐ দুটি অবৈধ বাজারের বিরোদ্ধে কঠোর হস্থক্ষেপ করার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে জোড়ালো দাবী জানাই।

    এই দুটি বাজার গরুর হাট বসানোর সাথে জরিত সংশ্লিষ্ট কারো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    এই বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ ইমতিয়াজ জানান,এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

    সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ জানান,আমরা জানামতে এই দুটি বাজার ইজারা দেওয়া হয় নি। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য বলছি।