সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশি অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৬৯ কোটি

    0
    231

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮জুনঃ    ২০১৬ সালের তুলনায় গত বছর সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে জমা রাখা অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে সর্বশেষ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

    ধনীদের অর্থ, গোপনে গচ্ছিত রাখার জন্য বহুযুগের খ্যাতি সুইজারল্যান্ডের। গ্রাহকের নাম-পরিচয় গোপন রাখতে কঠোর দেশটির ব্যাংকিং খাত। যে কারণে অবৈধ আয় ও কর ফাঁকি দিয়ে জমানো টাকা রাখা হয় সুইস ব্যাংকে। সুনির্দিষ্ট গ্রাহকের তথ্য না দিলেও কয়েক বছর ধরে দেশভিত্তিক আমানতের পরিমাণ প্রকাশ করে আসছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

    প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৭ সাল পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমার পরিমাণ ৪৮ কোটি ১৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা ৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা।

    অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, কোন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব গোপন কেরে অর্থ জমা রাখলে ওই টাকা এ হিসাবে অন্তর্ভূক্ত নয়। গচ্ছিত রাখা স্বর্ণ বা মূল্যবান সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমানও হিসাব করা হয়নি প্রতিবেদনে।

    এ পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া যায় তাতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা ছয় বছর বাংলাদেশিদের আমানত হু হু করে বেড়েছে সুইস ব্যাংকে। ২০০২ সালের মাত্র ৩ কোটি ১০ লাখ ফ্রাঁ আমানত দেড় দশকে বাড়ে, ২২ গুণ।

    কেবল বাংলাদেশ নয়, সামগ্রিকভাবেও ২০১৭ সালে আমানত অনেক কমেছে সুইস ব্যাংকগুলোতে। দেশটিতে কমেছে ব্যাংকের সংখ্যাও।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, সুইজারল্যান্ডে গোপনীয়তা কমতে থাকায় অনেক ধনী এখন অবৈধ টাকা জমা রাখার জন্য ঝুঁকছেন লুক্সেমবার্গ, কেম্যান আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, পানামা কিংবা বারমুডার মতো ট্যাক্স হ্যাভেনের দিকে।