সিলেট-মৌলভীবাজার-ঢাকায় জঙ্গিদের বিস্ফোরক একইরকম

    0
    234

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০মার্চ,হৃদয় দাশ শুভ,নিজস্ব প্রতিবেদক ,মৌলভীবাজার থেকে: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আতিয়া মহলের বিস্ফোরণ,ঢাকা বিমানবন্দরের সামনে বিস্ফোরণ ও মৌলভীবাজারের বিস্ফোরক গুলো একই রকমের বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের জঙ্গি বিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
    বৃহস্পতিবার বিকালে ফতেহপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল বলেন, ফতেহপুরে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণে সাত থেকে আট জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
    নিহতরা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য বলে মনে হচ্ছে। ওই বাড়ির ভেতরের দৃশ্যগুলো বীভৎস। সেখানকার ছবি কেউ তুললে তা গণমাধ্যম প্রচার করতে পারবে না। প্রতিটি মরদেহই ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের হাত পা, মাথা ও শরীরের বাকি অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পুরো বাড়ি জুড়েই।
    এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, তাদের কাছে মনে হয়েছে, সিলেটের আতিয়া মহলে যে জঙ্গিরা ছিল, এখানেও তাদের অনুসারীরাই ছিল। তবে এই আস্তানাটি জঙ্গিরা লুকানোর কাজে ব্যবহার করতে বলে ধারণা করছেন তারা।
    কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান জানান, ভেতরে যেভাবে মরদেহের অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাতে তাদের ধারণা সেখানে সাত থেকে আট জন থাকতে পারেন। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট কাজ করছে। তারা মরদেহগুলোর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অংশ জোড়া দিয়ে বোঝার চেষ্টা করবেন, এরপর বোঝা যাবে সেখানে আসলে কতজনের মরদেহ ছিল। মনিরুল বলেন, মরদেহের ছিন্নবিচ্ছিন্ন অংশ দেখে তাদের মনে হয়েছে এই আস্তানার ভেতরে যেমন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ছিলেন, তেমনি ছিলেন নারী এবং অপ্রাপ্তবয়স্করাও।
    মনিরুল ইসলাম বলেন, সোয়াট যখন অভিযান শুরু করে, তখন তারা যখন দেখে পালানোর পথ নেই তখন তারা আত্মহনন করে। ভেতরে আমরা যে দৃশ্য দেখেছি সেটি ছিল বীভৎস । মাংস ছড়ানো আছে গোটা কক্ষে। এই দৃশ্য ধারণ করলে আপনারা প্রচার করতে পারতেন না ।
    আরেক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “এই আস্তানায় যারা ছিলেন তাদেরকে স্থানীয় কেউ চিনতেন না। তারা বাড়ি ভাড়া নেয়ার পর সেখান থেকে বের হতেন না তেমন”।