সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন

    0
    206

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৪মার্চ: কোম্পানীগঞ্জ থেকে সংবাদ দাতাঃ সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবীতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র ঐক্যজোটের উদ্যোগে গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা পয়েন্টে এক বিরাট মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপজেলা বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শ্রর্মজীবী ও উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্র/ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।

    কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীপরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আমজদ, ছাত্র ঐক্যজোটের আহবায়ক ও ছাত্রনেতা আমিনুল ইসলাম হামিম, কোম্পানীগঞ্জ ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ছাতনেতা মুহাম্মদ বেলাল আহমদ, ছাত্রনেতা ফারুক আহমদ, আমজাদ হোসেন, রেদওয়ান আহমদ মনা, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোমাইয়া বেগম, কবিতা বেগম, মৌসমী, মিনারা বেগম, হলুদা আক্তার, হালিমা বেগম, বিলকিছ বেগম, উসা বেগম, লিপি, সুনিয়া, বিনা রানী দাস, আফসানা, তছলিমা বেগম, রেছনা বেগম, জিকরুল, রুবেল, বিপ্লব মন্ডল, জামাল আহমদ, লিটন, মোশারফ, আবুল বাশার, মোরাদ, সোহেল, জুয়েল, রুবেল, ফখরুল, কাওছার, সাবাজ, আব্দুল বাছির, হালকার প্রমুখ।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক যানচলাচলের অনুপযোগী হওয়া সত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়ক সংস্কারের কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ছাত্র সমাজ ও আপামর জনগন ফুসে উঠেছে। বর্তমানে রাস্তার দূর্ভোগের কারনের জনগনের পিঠ দেয়ালে লেগে গেছে।

    বক্তারা বলেন, চলিত মাসের মধ্যে সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আগামী মাসে উপজেলাবাসীকে সাথে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ ছাত্র ঐক্যজোট হরতাল, অবরোধসহ কঠিন কর্মসূচী দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারন করেন মানববন্ধে নেতৃবৃন্দ।

    সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান সালেহ আহমদ চৌধুরী, আবুল হোসেন আজাদ, জেলা জাসদের সহ-সভাপতি মাসুদ আহমদ, ইকবাল আহমদ চৌধুরী মন্টু, ডাঃ সুকেশ দাশ, মাহমুদ চৌধুরী, কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, মোজাহিদ আহমদ, আজিজুর রহমান, জেকে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম প্রমূখ। উক্ত অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্যকালে জনাব আব্দুর রউপ বলেন, তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ২৩ মার্চ সারা দেশে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনের ঘোষনা থাকায় সহপাটিদের নিয়ে জাতীয় পতাকা সাথে নিয়ে নবীগঞ্জে আসি। এবং মরহুম জননেতা আব্দুল আজিজ চৌধুরীর বাসভবনে বসে নবীগঞ্জে ২২ মার্চ পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই অনুযায়ী নবীগঞ্জের ডাকবাংলায় পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেই ঢাকায় ফিরে যেতে হয়েছিল। ওই পতাকা উত্তোলন অনুষ্টানে তৎকালীন সময়ে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন ডাঃ নিম্বরুর রহমান চৌধুরী, আলহাজ্ব হিরা মিয়া, আব্দুস ছুবান মাষ্টার, আব্দুল হক চৌধুরী, আব্দুস ছালাম, রামদয়াল ভট্রার্চায্য, আজিজুর রহমান ছুরুক মিয়া ও চারু চন্দ্র দাশসহ অনেক নেতৃবৃন্দ। তিনি স্বাধীনতার স্বপক্ষে যারা জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন, মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন তাদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাই। তাদের নাম অন্তভুক্তির দাবী জানান। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমপি এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তালিকা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকলে যাচাই পুর্বক তাদেরকে তালিকায় অন্তভুক্তি করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতি দাবী জানান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহমদ বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর নবীগঞ্জে এসে পুর্বে যা দেখেছিলাম, আজও তা দেখছি। এই দীর্ঘ সময়ে নবীগঞ্জের চেহারার পরিবর্তন হয়নি। যা অত্যন্ত দুঃখ জনক। তিনি বলেন, ১৯ শে মার্চ ১৯৭১ সাল। নবীগঞ্জের কৃতিসন্তান তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা আব্দুর রউপ সাহেবের ডাকে সারা দিয়ে দেশমাতৃর টানে নবীগঞ্জে এসে ছিলাম। ঢাকার আরেক নেতা সাহাব উদ্দিন সাহেবও সাথে ছিলেন। এসেই ২২ মার্চ নবীগঞ্জে পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত হলো। আমরা সে সময়ে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে রউপ সাহেবের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করতে সক্ষম হয়ে ছিলাম। দীর্ঘ ৪৬ বছর পর উনার ডাকে সে সময়ের স্মৃতি লালন করে নবীগঞ্জে আসতে হয়েছে। নবীগঞ্জ পৌর মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শহীদ দ্রুব’র সমাধিস্থল সনাক্ত করে সকলের সহযোগিতায় রক্ষানাবেক্ষনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।