সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে জৈন্তাপুরে সংস্কার কাজে অনিয়ম

    0
    247

    “৩ শত মিটার কাজ শেষ হবার আগেই ফাটল, কত টাকার কাজ এসও জানেন না!”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮মে,রেজওয়ান করিম সাব্বির: সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর বাজারের ৩শত মিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা দূর করতে সড়ক ও জনপথ উদ্যোগ গ্রহন করে। কিন্তু শুরু থেকে কাজের গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় সচেতন মহলে। নিম্ন মানের পাথর ও বিটুমিন দিয়ে কাজের ফলে ৩শত মিটার কাজ শেষ করার আগেই ফাটল দেখা দেয়। সংস্কার কাজে কত টাকা বরাদ্ধ জানা নেই সাব-এসিষ্টেন্ড অফিসার (এসও)।

    জানাযায়- গত ২০১২সনের শুরুর দিকে সিলেট তামাবিল মহাসড়কটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু তৎকালীন সময়ের কাজটি ৮মাসের মধ্যে রাস্তার পিছ উঠতে থাকে। একপর্যায়ে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর বাজারের ৩শত মিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। রাস্তার ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে সিলেটের স্থানীয় সহ ও জাতীয় পত্রিকায় বেশ কয়েক দফায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়। সর্বশেষ মে মাসের প্রথম দিকে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কাজ শুরু করার প্রাক্কালে কয়েক দফা সচেতন মহলের বাঁধার সম্মুখিন হয়।

    এদিকে কাজ শুরু করে শেষ হবার আগেই ৩শত মিটার চুনাহাটি মসজিদ মার্কেট, আলী ষ্টোর, পলাশী হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সম্মুখ সহ বেশ কিছু স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া নিম্ন মানের বিটুমিন ও পাথর ব্যবহারের ফলে কাজ শেষ হওয়া আগেই পিছ অংশের শিলকোড উঠে যাচ্ছে। এনিয়ে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহলের দাবী কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দায়সারা ভাবে কাজ করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই।

    এবিষয়ে সড়ক ও জনপথের (এস.ও-১) মাসুম আহমদ এর ব্যবহৃত (০১৭১২৯০২২৫৩) মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন- কত টাকার কাজ হচ্ছে তা তিনি জানেন না, বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলী জানেন। জৈন্তাপুরে ভাঙ্গা অংশের মেরামত কাজ যথা নিয়মে হচ্ছে। কাজ শেষ হওয়া অশের পিছ উঠে যাওয়া এবং ফাটল দেখা দিয়েছে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে বলেন আমাদের ভাল কাজ গুলো না দেখে আপনারা ত্রুটি গুলোকে বড় করে দেখেন।