আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৫ফেব্রুয়ারী,শংকর শীলঃ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারদের বিশেষ আন্তরিকতার কারনে দালালদের উৎপাত এখন চরম আকার ধারণ করেছে।
সরেজমিনে দেখা , সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেলেই দালালের রাক্ষুসে মায়া অর্ভ্যথনায় রোগীদের সাথে ছলনার দিন শুরু হয়।
দালালদের রাক্ষুসে আন্তরিকতায় অনেকেরই মনে হবে যেন কত দিনের চেনা। যত দিন রোগীদের কাজ বাকি তত দিন দালালেরা আত্মার আত্মীয় হয়ে ওঠেন। যখন রোগীদের কাজ হয়ে যায় তখনই বেরিয়ে আসে তাদের আসল রুপ।
তখন দালালের হতে ৫০/১০০ টাকা ধরিয়ে দিলে ও দালালের মন ভরে না। চাহিদামতো না হলে রোগীদের সাথে খিটখিটে মেজাজে কথা বলা ও অশালীন ব্যবহার করতে থাকে।
হাসপাতালের ভিতরে দালালেরা বিভিন্ন কোম্পানীর লোক বলে পরিচয় দেয়, সান মুন ক্লিনিক এন্ড সিকুরিটি গার্ডের এক সদস্য মোঃ বাবুল মিয়া সহ আরোও অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা কম্পানীর নিকট থেকে কোন টাকা পাননি তাই তারা টাকা চায়।সকাল হলেই হাসপাতালে ভরে যায় বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ঔষধ কোম্পানীর সদস্যরা ডাক্তারদের আহবান করতে করতে তাদের দিন যায়। বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সদস্যরা কম খরচে বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষা হয়ে যাবে বলে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে অভিনব কায়দায় ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর অভিভাবক জানান,” রোগীদের প্রয়োজনে ট্রলি নিতে হলে নগদ ২০০ শত টাকা দিয়ে নিতে হয়।বাধ্য হয়ে রোগীকে বাঁচানোর জন্যে তাই করা লাগে এ ছাড়া উপায় নেই।কারো কাছে অভিযোগ করার মত কেহ নেই।কারন কেউই এ অভিযোগ শুনতে চায়না।”
একটি নির্ভর সূত্র জানায়,”কিছুদিন পুর্বে একটি মস্তিস্কের রোগীকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা লাগবে বলে জানালে ও পরবর্তিতে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে জানায়-তেমন খরচ লাগবেনা শুধুমাত্র চিকিৎসা পরবর্তিতে যা লাগার তা লাগবে” যদি এভাবে দালালের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেরে যায় তাহলে রোগীদের হয়রানির কারনে এই হাসপাতালের সুনাম অনেকটাই ম্লান হতে চলেছে।
কিন্তু কর্তব্যরত ডাক্তারদের বিশেষ আন্তরিকতার কারনেই দালালের উৎপাত অনেকটাই বেরে গেছে বলে রোগীদের ধারণা। যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কঠোর ভাবে যতাযত ব্যবস্তা নেন তা হলে দূর্নীতি ও দালালের প্রভাব অনেক টাই কমে আসবে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।