রাজন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার-৪ঃমামলা দ্রুত বিচার আদালতে

    0
    270

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫জুলাইঃ সিলেটে নির্মমভাবে পিটিয়ে কিশোর রাজনকে হত্যার ঘটনা দ্রুত বিচার আদালতে হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ।

    বুধবার সিলেট সফরে গিয়ে তিনি জানান, এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বুধবার সিলেটে নিহত কিশোর রাজনের বাড়ীতে যান তার বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিতে। তিনি এ ঘটনার যথাযথ এবং দ্রুত বিচারের আশ্বাস দেন।

    সরকারের পক্ষ থেকে তিনি রাজনের পরিবারকে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। অন্যদিকে জেলা প্রশাসন থেকে ঘোষণা করা হয়, রাজনের ছোট ভাইয়ের লেখা-পড়ার খরচ বাবদ প্রতিমাসে দুহাজার টাকা করে দেয়া হবে।

    এদিকে রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, মামলার তালিকাভুক্ত আসামী দুলাল মিয়াকে সিলেট থেকে আজ গ্রেফতার করা হয়।

    এর আগে গতকাল গ্রেফতার হওয়া মামলার অপর আসামী ‘চৌকিদার ময়নাকে আজ আদালতে হাজির করার পর তাকে সাত দিনের পুলিশ রিম্যান্ডে পাঠানো হয়েছে।

    চাঞ্চল্যকর এই হত্যার ঘটনায় তালিকাভুক্ত আসামীদের সবাই এখন ধরা পড়েছে।

    রাজনকে পিটিয়ে হত্যার অন্যতম আসামি প্রবাসী কামরুল ইসলাম সোমবার সৌদি আরবে ধরা পড়েন। ঐ ঘটনার পরপরই তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

    আসামীদের অর্থের বিনিময়ে পুলিশ পালিয়ে যেতে সাহায্য করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

    তবে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে সিলেটে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে গতকাল প্রত্যাহার করা হয়।

    সিলেটে মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজনের পিতা তার সাথে পুলিশের দুর্ব্যবহার ও তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে গাফলতির যে অভিযোগ করেছে তা তদন্তের জন্য একজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    আগামী তিনদিনের মধ্যে এ কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

    গত সপ্তাহে ১৩-বছর বয়সী সামিউল আলম রাজনকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের পর তার মৃত্যুর ঘটনার ভিডিও ইউটিউব ও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায়  এনিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

    ইউটিউবে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, ওই কিশোরকে একটি খুঁটির সাথে বেঁধে ক`জন লোক নির্মমভাবে প্রহার ও নির্যাতন করছে।বিবিসি