সিলেটে জাতীয় মহাসড়কে টমটম উল্টে ৫ শিক্ষার্থী আহত

    0
    428

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৫আগস্ট,রেজওয়ান করিম সাব্বির: সারা দেশের মহা সড়কে সরকার অটো রিক্সা, ইজিবাইক(টমটম) ষ্টোক গাড়ী চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে। কিন্তু এখনো তা বন্ধ করা হয়নি বরং সিলেট তামাবিল মহাসড়কের সদরের অর্ধ কিলো মিটার বাধে সকল চলা চল করছে অনুমোদন বিহীন ইজি বাইক।

    গতকাল সকাল ১০টায় সিলেট তামাবিল মহা সড়কের আশামপাড়া এলাকায় একটি টমটম(ইজি বাইক) উল্টে ৪ শিক্ষার্থী সহ ৫জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- আশামপাড়া গ্রামের ইজিবাইক(টমটম) চালক নুরুল ইসলামের ছেলে হারুনুর রশিদ(২২), আদর্শ গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে জিহাদ হোসেন(১২), আশামপাড়া গ্রামের ফয়জুল হকের মেয়ে আরজানা আক্তার রুমি(১১), একই গ্রামের বশির মিয়ার মেয়ে সমুজা আক্তার(১২), আব্দুল আব্দুল লতিবের মেয়ে সাহেরা বেগম(১২)। আহত ৪জন ক্যাপ্টেন রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ইজিবাইক(টমটম) চালক হারুনুর রশিদ ও শিক্ষার্থী জিহাদ হোসেন সিলেট এম.এ.জি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরন কারা হয়েছে।

    এদিকে সড়ক দূর্ঘটনায় সংবাদ পেয়ে ক্যাপ্টেন রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক বিজন চন্দ্র বিশ্বাস সহ এলাকাবাসীরা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ২জনের অবস্থা আশংঙ্কা জনক হওয়য় দ্রুত সিলেটে প্রেরণ করে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ী প্রেরণ করা হয়।

    ক্যাপ্টেন রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক বিজন চন্দ্র বিশ্বাস- নিষেদাজ্ঞা জারীর পর কিভাবে তিন চাকার যানবাহন মহা সড়কে চলছে তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন- শ্রীপুর, আদর্শগ্রাম, আশামপাড়া, গুচ্ছগ্রাম, রাংপানি, বিরাইমারা এলাকার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পরিবহনের প্রয়োজন নেই। বিদ্যালয়ে অতিতের ন্যায় পায়ে হেটে ১০ থেকে ২০মিনিট সময় লাগে। শিশুদের এসব পরিবহনে তুলে দেওয়া মানে মৃত্যুর মুখে প্রেরণ করা। তিনি অভিভাবক মহলকে সর্তক হওয়ার আহবান জানান।