সিলেটে এড. শামসুল হত্যা মামলা : ছেলে মুন্নাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

    0
    276

    সিলেট, ১৮মে : সিলেটের বহুল আলোচিত এডভোকেট শামসুল ইসলাম হত্যা মামলার চার্জ গঠন করা হয়েছে। বুধবার সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মিজানুর রহমানের আদালতে মামলার চার্জ গঠন করা হয়। এসময় আদালতে মামলার আসামী বুরহান, আনসার ও ইসমাইল উপস্থিত ছিলেন। ওই মামলায় পলাতক রয়েছেন এডভোকেট শামসুল ইসলামের ছেলে মাসউদ আহমদ চৌধুরী মুন্না এবং আবু জাহের।
    সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এডিশনাল পিপি শামসুল ইসলাম জানান, অতি চাঞ্চল্যকর এ মামলা। সরকার পক্ষ বিরতিহীন ভাবে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করে যাবে। মামলার আসামি ইসমাইল হোসেন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন। বোরহান উদ্দিন ও আনসার আহমদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। আদালত ৩০২/৩৪ ও ২০১ ধারায় সকল আসামীর বিরুদ্ধে মামলার চার্জ গঠন করেছেন।
    উল্লে¬খ্য, গত বছরের ১৭ জুলাই পবিত্র শবে বরাতের রাতে নিখোঁজ হন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি নগরীর মীরবক্সটুলার বাসিন্দা এডভোকেট শামসুল ইসলাম চৌধুরী। পিতা নিখোঁজ হয়েছেন বলে পুত্র মাসউদ আহমদ চৌধুরী মুন্না কোতোয়ালী থানায় একটি জিডি করলেও ২২ জুলাই আত্মগোপনে চলে যায় মুন্না। এরপর থেকে মুন্নাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর ১৯ আগস্ট সিলেট ও দোয়ারাবাজারে অভিযান চালিয়ে মুন্নার স্ত্রী জাহেদা খানম জানুসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এদের গ্রেপ্তারের পরই এডভোকেট শামসুলের নিখোঁজ রহস্য বের হয়ে আসে। গ্রেপ্তারকৃত বোরহান, আনসার ও ইসমাইল স্বীকার করে পুত্র মুন্নার হাতে শবেবরাতের রাতেই খুন হন প্রবীণ এ আইনজীবী। জাহের আলীসহ ৪ জন মুন্নার সহযোগী হিসেবে হত্যাকান্ডে অংশ নেয়। বর্তমানে মুন্না ও জাহের আলী পলাতক রয়েছে। মুন্না ভারতে অবস্থান করছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও জাহের আলীর কোনও হদিস এখনো পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনের মধ্যে মুন্নার স্ত্রী জাহেদা খানমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ইসমাইল জামিনে রয়েছে। আর বুরহান ও আনসার জেল হাজতে রয়েছে। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ১ লাখ টাকার স্বর্ণ, ৪০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র রয়েছে। অপরদিকে স্থাবর স¤পদের মধ্যে অকৃষি জমির পরিমাণ ১ কেদার ও ৪ কেদার পরিমাণ বাড়ি রয়েছে।

    সিলেটে প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষিত : ধর্ষক পলাতক

    সিলেট, ১৮ মে : সিলেটের ওসমানীনগর পল্লীতে শারিরীক প্রতিবন্ধী এক তরুণী (১৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বুধবার বিকেলে নিজ বসত ঘরে একা পেয়ে ওই প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ করে ওসমানীনগরের সুন্দিখলা গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মুয়িদ (৩০)। এ ঘটনায় ওই তরুণীর মা বাদি হয়ে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। 
    মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় তরুণীর মা-বাবা কাজের সন্ধানে বাইরে অবস্থান করছিলেন। এ অবস্থায় বাড়িতে ঘরে তাদের প্রতিবন্ধী মেয়েকে একা রেখে যান। সেই সুযোগে আব্দুল মুয়িদ ঘরে ঢুকে মেয়েটির মুখ কাপড় বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। সন্ধ্যায় ওই তরুণীর মা বাবা বাড়ি ফেরার পর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামলা রুজু করে। তবে কিছু প্রভাবশালীমহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    ওসমানীনগর থানার ওসি জুবের আহমদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষক মুয়িদকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।