সিলেটের জৈন্তাপুরের হরিপুরে ২গ্রামবাসীর সংঘর্ষঃআহত-৫০

    0
    951

    তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে  রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশ মোতায়েন

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪সেপ্টেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বির: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা হরিপুরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। এঘটনায় অন্তত ২পক্ষের অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে প্রায় ৫ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

    গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় জৈন্তাপুর উপজেলা হরিপুর বাজারে হেমু হাউদপাড়ার যুবকের সাথে বালীপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ীর সাথে জুতার দাম নিয়ে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে তা আনুষ্ঠানিক রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। রাত ৯টায় দু’গ্রামবাসী মাইকে ঘোষনা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সেল সুলফি, ইট পাটকেল নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ীয়ে পড়ে। এসময় হরিপুর বাজারের কয়েকটি দোকান ঘর ভাংচুর করা হয়। দফায় দফায় হামলার কারনে সিলেট-তামবিল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এলাকাবাসী ও প্রতক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায় দু’গ্রামবাসী একে অপরকে লক্ষ করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অন্ধকারের মধ্যে থেমে থেমে রাত আড়াইটা পর্যন্ত হামলা চলে।

    ঘটনার সংবাদ পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ হেমু ব্রিজের পাশ্বে অবস্থাননেয়। ফৌস সংখ্যা কম থাকায় উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপকরে ঘটনাস্থল হরিপুর বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব আনা হয়। ঘটনাটি মিমাংশার লক্ষ্যে হরিপুর মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ভাইস চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মোঃ শহিদুল ইসলাম, এলাকার গণ্যমান্যরাসহ পুলিশ ও র‌্যাবের সহযোগীতায় রাত আড়াইটায় দিকে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। ৫ঘন্টা ব্যাপি মারামারির ঘটনায় উভয় গ্রামের অন্তত ৫০জন আহত হয়েছেন।

    এদের মধ্যে গুরুত্বর ১০জন কে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তবে আহতদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি। এদিকে পরিস্থিতি শান্ত হলে রাত আড়াইটায় সিলেট-তামাবিল মহা সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনার পূনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্য হরিপুর বাজার সহ আশ পাশ এলাকায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    এবিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান- রাতে উভয় পক্ষের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ থামানো হয়। আগামী ১৭সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ৫০লাখ টাকা জামানত রেখে শালিশ বিচার শুরু হবে। ইতিমধ্যে উভয় পক্ষের নিকট হতে ১লক্ষ টাকা জামানত রাখা হয়েছে।

    এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবির জানান- স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে। উভয় পক্ষের কেউ এবিষয়ে থানায় কোন এজাহার দেয়নি। এজাহার পেল আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে হরিপুরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।