সিন্ডিকেট প্রথাকে উপেক্ষা করে টেন্ডার ড্রপিং ঠিকাদারদের

    0
    203

    আমারসিলেট24ডটকম,২৪এপ্রিল,শাব্বির এলাহীমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ৬ বছর পর প্রভাবশালী ঠিকাদারদের নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেট প্রথাকে উপেক্ষা করে প্রথম বার   এলজিইডির এডিপির টেন্ডার ক্রয় ও ড্রপিংয়ে অংশ নিয়েছেন সাধারন ঠিকাদাররা। সিডিউল বিক্রি বাবত সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।সাধারণ ঠিকাদাররা জানান, আওয়ামীলীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দলীয় কিছু ঠিকাদাররা একত্রিত হয়ে একটি ঠিকাদারী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। গত ৬ বছরে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এডিপিসহ যত টেন্ডার আহবান করা হয়েছে সেগুলো গোপনে এলজিইডি প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে ভাগবাটোয়ারা করে নিজেদের মধ্যে নিয়ে নিতেন। তাতে সাধারন কোন ঠিকাদার অংশ গ্রহনের সুযোগতো দুরের কথা জানার সুযোগ ছিল না। প্রতিটি টেন্ডারের সিডিউল বিক্রি বাবত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হতো উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। কিন্তু এবার সেই সিন্ডিকেট প্রথা জোর করে ভেঙ্গে ফেলেন সাধারন ঠিকাদাররা।

    উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর গত ৩১ মার্চ  স্মারক নং-এলজিইডি/উঃপ্রঃ/কমল/২০১৪/১৩৪ মুলে ২০১৩-২০১৪ বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়  কমলগঞ্জের ৯টি ইউনিয়নে ২২টি গ্র“পে প্রায় ৫০ লাখ টাকার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি আহবান করে। গত মঙ্গলবার ছিল দরপত্র সিডিউল ক্রয় এর সর্বশেষ তারিখ। ওই সিন্ডিকেট ঠিকাদাররা সোমবার রাতে গোপনে বসে নিজেরাই পছন্দ মতো কাজ ভাগবাটোয়ারা করে সে মতো সিডিউল ক্রয় করা সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু  ঠিকাদার সমিতির বাহিরের সাধারণ ঠিকাদাররা এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেননি। তারা মঙ্গলবার সকালে সিডিউল অফিস থেকে আনতে গেলে প্রথমে সিন্ডিকেট চক্রের ১/২ জন  আপত্তি দিলেও সাধারন ঠিকাদাররা তাদের আপত্তি উপেক্ষা করে সিডিউল ক্রয় করেন। ভেস্তে যায় সিন্ডিকেটে ভাগবাটোয়ার কাজ। পরিস্থিতি বেগতির দেখে সিন্ডিকেট চক্রের ঠিকাদারসহ ২০ জন ঠিকাদার ২২টি গ্র“পের কাজের সিডিউল ক্রয় করেন।

    বুধবার  দুপুর ১ টায় প্রকাশ্যে রাখা টেন্ডার বাক্সে দরপত্র ড্রপিং করেন এবং দুপুর ২ টায় ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে বাক্স খোলা হয়। বাক্স খোলার পর অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা খামের প্যাকেট গুলো হাসিমুখে সংরক্ষন করতে দেখা যায়। এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন কর্মচারী বলেন, ২০০৮ সালের পর এই প্রথম আমরা এভাবে মনের তৃুপ্ত নিয়ে কাজ করছি।  উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এই প্রথম প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করে। যা গত ৬ বছরে হয়নি বলে অফিসের একটি সূত্র জানায়। কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে অনেক যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।