সিএনজি শ্রমিকদের ধর্মঘট-অবরোধঃসামাজিক বিচার ভন্ডুল

    0
    215

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩১মেঃ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারের মাদ্রাসা রোডের আধুনিক ভবনের গাড়ি পার্কি সেন্টার থেকে সিএনজি শ্রমিকের ১টি সিএনজি অটোরিক্সা চুরির ঘটনায়  শুক্রবার বিকেলে সিএনজি শ্রমিক ও কতিপয় সামাজিক বিচারকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উত্তেজিত সিএনজি শ্রমিকদের চরম হট্টগোলের করে এতে ভন্ডুল হয় সামাজিক বিচার। আউশকান্দি নবীগঞ্জ আ লিক মহা সড়ক গত কাল বিকালে প্রায় আধা ঘন্টা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে রাখে।

    পরে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে যান চালাচল স্বাভাবিক হয়। শ্রমিকদের দাবী, আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যবাসায়ী আব্দুল করিম তুতা মিয়ার পার্কি সেন্টার থেকে গত ১৯ মে একই এলাকার রায়পুর গ্রামের মহশিন মিয়া নামের সিএনজি চালকের ১টি সিএনজি অটোরিক্সা রহস্য জনক ভাবে চুরি হয়। এ ঘটনায় আউশকান্দি সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকরা গতকাল শুক্রবার দিন ব্যাপী ধর্মঘট পালন করে। সিএনজি চুরির ঘটনায় বাদ জুময়া আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুরশেদ আহমদ এর ব্যবসা প্রতিষ্টানের সম্মূখে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে সামাজিক বিচার চলে।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুরশেদ আহমদ, সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি হাজী সানুর আলম, বিশিষ্ট মুরুব্বি সামছুল আলম কনা মাস্টার, উপজেলা জাতীয় পাটির আহবায়ক ও সামাজিক বিচারক ডাঃ শাহ আবুল খায়ের, সিএনজি শ্রমিকের সভাপতি খালেদ আহমদ জজ, সাবেক সভাপতি দিলশাদ আহমদ, বাজার ব্যবাসা সমিতির সহ সভাপতি ফজলুল করিম মিছবাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, পার্থ সারতি পাল, ফকির ফজলু মিয়া, আব্দুল মুকিত সহ কয়েক শত জনতা। সালিশ বিচার চলাকালীন সময়ে হঠাৎ চরম হট্টগোলের সৃষ্টি হলে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক দেখা দেয়।

    এদিকে উত্তেজিত শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ সহ কঠোর অবস্থানে থাকায় সংবাদ পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসী আব্দুল বাতেন খাঁন একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। সিএনজি শ্রমিকরা জানায়, তাদের অপর শ্রমিক মহশিনের মালিকাধীন সিএনজি অটোরিক্সাটি উল্লেখিত তারিখে আব্দুল করিম তুতার পার্কি সেন্টার থেকে রহস্য জনক ভাবে চুরি হয়।

    ওই সিএনজি অটোরিক্সাটি গতকাল শুক্রবার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল আব্দুল করিম তুতার সাথে। এতে আব্দুল করিম তুতা নানা কৌশল অবলম্বন করে শ্রমিকদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করেছে। পার্কি করা সিএনজিটি দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল করিম তুতার পার্কি সেন্টারে মাসোহারা দিয়ে রক্ষিত ছিল।