সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল

    0
    243

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪জুনঃ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং থানার পুলিশ। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করায় সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা দায়েরের ২৩ দিন পর চার্জশিট দেয়া হলো।

    বুধবার বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এল এম নোংব্রির আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এম লামহারে। চার্জশিটে শুধু অনুপ্রবেশেরই অভিযোগ এনেছে শিলং পুলিশ। এর ফলে সালাহ উদ্দিনকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে, অথবা তাঁকে পুশব্যাক করা হতে পারে।

    সন্ধ্যায় মেঘালয়ের ইস্ট খাসি হিলস জেলার পুলিশ সুপার বিবেক সিয়াম জানান, সালাহ উদ্দিন ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন উল্লেখ করে চার্জশিট দেয়া হয়েছে।

    এর আগে ২৭ মে একই সালাহ উদ্দিনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। সেদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এম লামহারেই সালাহ উদ্দিনের শারীরিক অবস্থার কারণে তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ না করে বরং বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখতে আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন।

    গত ১০ মার্চ উত্তরা থেকে নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে খোঁজ মেলে সালাহ উদ্দিনের। ১২ মে সালাহ উদ্দিনকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন তাঁকে উদ্ধার করে একটি মানসিক হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। একদিন পর মিমহানস থেকে আবার তাকে পাঠানো হয় সিভিল হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের আন্ডার প্রিজনার সেলে (ইউটিপি) তাকে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। সিভিল হাসপাতালে বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় তাকে বিশেষায়িত হাসপাতাল নেগ্রিমসে এক সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়।

    গত ২০শে মে সিভিল হাসপাতাল থেকে সালাহউদ্দিনকে স্থানান্তরিত করা হয় মেঘালয়ের নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্সেস (নেগ্রিমস) হাসপাতালে। নেগ্রিমস থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর ২৭ মে আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে ১৪ দিন বিচারিক হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি কারাগারে পাঠানোর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়।

    এরপর ২৯ মে তার জামিন শুনানি হয়। জামিন না হওয়ায় এখনও নেগ্রিমস হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন সালাহউদ্দিন। আগামী ১০ জুন ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত শেষ হবে। সেদিন আবার আদালতে তোলা হবে তাকে।ইরনা