সাংবাদিকদের জন্য সরকারের কোটি টাকার অনুদানঃনানা জল্পনা

    0
    223

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫জুলাইঃবাংলাদেশের অসুস্থ, অসচ্ছল, অসহায় এবং বেকার সাংবাদিকদের জন্য সরকারের তরফ থেকে এবার ঈদ উপলক্ষে, প্রায় সোয়া কোটি টাকার অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনুদান পাচ্ছেন এরকম ১৭৭ জন সাংবাদিক। এদের মধ্যে কয়েকজন প্রয়াত সাংবাদিকের পরিবারও রয়েছে।

    আগামীকাল (বৃহষ্পতিবার) সকাল ১১ টায় এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এই অনুদানের অর্থ সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেবেন বলে জানা গেছে। যারা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না তাদের চেক পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

    তথ্য মন্ত্রণালয়  চলতি সপ্তাহে এ অনুদানের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকায় রয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের  ৫৩ জন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের বিভিন্ন জেলা ইউনিটের ৫০ জন এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আবেদনকারী আরও ৭৩ জন ।

    অনুদানের তালিকায় অন্তর্ভুক্তরা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত পাচ্ছেন। এর মধ্যে কয়েকজন এক লাখ এবং এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করেও পাচ্ছেন। অনুদান প্রার্থী  অনেকেই তাদের পরিবারের সদস্যের অসুস্থতাজনিত কারণও উল্লেখ করেছেন।

    সরকারের  কাছ থেকে হাত পেতে অনুদান গ্রহণ স্বাধীন সাংবাদিকতা পেশার জন্য কতটা মার্যাদার ? এ প্রশ্নের জবাবে  বাংলাদেশ ফেডারেল সাংকবাদিক ইউনিয়নের  সভাপতি জনাব মনঞ্জুরুল আহসান বুলবুল রেডিও তেহরানকে বলেন, দুস্থ, অসহায়ত্ব বা চিকিৎসার কারণে  আগেও সাংবাদিকরা সরকারি সাহায্য নিয়েছে । বর্তমান সরকার সেটাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। এতে অমার্যাদার তেমন কিছু নেই।

    তবে তিনি স্বীকার করেন যে সব প্রতাষ্ঠানের সাংবাদিক সরকারি অনুদান নিচ্ছেন সে সব প্রতিষ্ঠানের জন্য বরং এটা আমার্যাদাকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

    এ প্রসঙ্গে বাম রাজনৈতিত নেতা জনাব সাইফুল হক বলেন, এটা  স্বাধীন সাংবাদিকতা পেশার জন্য অবমানাকর। সরকার অনুদান দিয়ে তাদের অনুগত সাংবাদিক সৃষ্টি করতে চায়।

    তিনি মনে করেন, সাংবাদিকদের চেয়েও অসহায় অবস্থায় পড়ে যে সব পোশাক শ্রমিকরা প্রেসক্লাবের সামনে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে  তাদের সাহায়্য করলে  সরকারের   সততা প্রকাশ পেতে পারতো।

    বাংলাদেশের একজন সাংবাদিক নিজেকে অসহায় বা দুস্থ পরিচয় দিয়ে যখন সরকারি আনুদান হাত পেতে গ্রহণ করেন এবং সেটা যখন টেলিভিশনে প্রচারও হয়, তখন  সে সাংবাদিক নিজেকে যতটা  হেয় করেন  তার চেয়ে বেশি করে ফুটিয়ে তুলেন সাংবাদিতকার দৈন্য দশা। একজন আত্ম-মার্যাদা সম্পন্ন সাংবাদিকের কাছে দারিদ্র্য বা অসহায়ত্ব সরকারের  করুণা ভিক্ষার কারণ হওয়া উচিত নয় -এটা বুঝার মতো চেতনাবোধ না থাকলে  তার সাংবাদিকতা পেশা থেকে বিদায় নেয়া উচিত।ইরনা