সরকারী জায়গায় আ’লীগ নেতার বহুতল বাস-ভবন

    0
    266

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জায়গার খাজনা দেয় উপজেলা পরিষদ,আর বহুতল ভবন নির্মান করে ভোগ দখল করে আছে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী। তিনি দলীয় ক্ষমতার দাপটে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মান করে বে-আইনী ভাবে দখল করে আছেন। অথছ এই জায়গাটি জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ।
    এই বহুতল ভবন নির্মান করে বসবাস করায় অবৈধ দখল উচ্ছেদে জেলা প্রসাশক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
    গত মঙ্গলবার জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামের শাহ মোঃ আবুল কাশেম জেলা প্রশাসক বরাবরে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
    অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,জামালগঞ্জ থানাধীন ১৮নং জে-এল সংক্রান্ত কামলাবাজ মৌজার এসএ খতিয়ান নং ৮৩২,আর এস ১৩০৩ খতিয়ানের এসএ-৩৭৬১, আরএস-৭২৪৫দাগে জমির পরিমান-০. ১৬ একর ভূমি এল এ কেইস নং ০১/৬৫-৬৬ মূলে টিডিসি,জামালগঞ্জ এর নামে অধিগ্রহন করা হয়। যথারীতি তাহা গ্রেজেট ও প্রকাশিত হয়েছে। সেই সাথে ১২৯৫নং নামজারি খতিয়ানে সৃজন করা হয়েছে। যাহ এসএ ৩৭৬১দাগের ভূমি উপজেলা পরিষদের অধিগ্রহনকৃত হওয়ায় ভূমি মোকাদ্দমা নং ০৬/২০০৫মূলে উপজেলা পরিষদের নামে ২নং খতিয়ানে রেকর্ড সংশোধন করা হয়েছে। বর্তমানে এস.এ ৩৭৬১ নং দাগটি হালে ৭২৪৫ দাগে ভূমিতে উপজেলা পরিষদ জামালগঞ্জ দখলকার থাকিয়া যথারীতি ভূমি উন্নয়ন করও পরিশোধ করে আসছে।
    নাম গ্রকাশে অনিচ্ছিক একাধিক লোক জানান,সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ সদরের বাসিন্দা মৃত আব্দুল লতিফ তালুকদারের ছেলে বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী একজন ধণাঢ্য ও প্রভাবশালী লোক হওয়ায় সরকারি ভূমিতে বৈআইনী ভাবে অভিজাত বহুতল ভবন নির্মান করে দখল করে আছেন। এমনকি মোহম্মদ আলী শুধুমাত্র প্রভাব প্রতিপত্তি ও ক্ষমতার জোরে তিনি জায়গাটি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন এলাকায় সবাই জানে কিন্তু মুখ খোলতে সাহস পায় না।
    জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দাখিলের পর ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    সরকারি ভূমিটি সার্ভেয়ার নিয়োগ করে এসএ ৩৭৬দাগের সরকারি ভূমি পরিমাপ করে জোরপূর্বক ভাবে দখলদার মোহাম্মদ আলীর অবৈধ স্থপনা উচ্ছেদ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে দখর উ”্ছদে করে সরকারি সম্পত্তি সরকারের নিয়ন্ত্রনে রাখার জোর দাবি জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
    এব্যপারে উপজেলা আ,লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর কাছে জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোন করলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
    জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বলেন,অভিযোগটি দেখে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।
    জেলা প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম বলেন,লিখিত অভিযোগটি এখনো আমার হাতে পৌঁছেনি। অভিযোগটি হাতে এলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।