সম্পাদক সুবর্ণা নদী খুন:শ্রীমঙ্গল অনলাইন প্রেসক্লাবের নিন্দা

    0
    508

    ২৯ অাগস্ট ২০১৮: পাবনা থেকে প্রচারিত অনলাইন পোর্টাল ‘দৈনিক জাগ্রত বাংলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক এবং আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা আক্তার নদীকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের রাধানগর মজুমদারপাড়া এলাকায় সুবর্ণার ঘরে তাকে খুন করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। পৌর সদরের রাধানগর মহল্লায় আলীয়া মাদরাসার পশ্চিম পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সুবর্ণা।

    পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, “বাসার কলিং বেল টিপে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে ডেকে বের করে। সুবর্ণা নদী গেইট খোলার সাথে সাথে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।”

    স্থানীয়রা গুরুতর আহত সুবর্ণাকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। সুবর্ণাকে কারা খুন করেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শামিমা আকতারসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা। গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে সুবর্ণা নদী হত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে আমাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছেন প্রকৃত ঘটনা উদ্ধারের জন্য।”

    জানা গেছে,সুবর্ণা নদীর ৫-৬ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। পাবনার এক ব্যবসায়ীর ছেলে রাজিব ছিলেন সুবর্ণার স্বামী। সম্প্রতি তাদের বিচ্ছেদ হয়। এনিয়ে আদালতে একটি মামলাও চলছে বলে স্থানীয়রা জানান। সুবর্ণা হত্যার ঘটনায় পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী বাবলা বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীরা আমাদের জানিয়েছেন, ১০/১২ জন সন্ত্রাসী কয়েকটি মোটর সাইকেলে এসে তাকে কুপিয়ে দ্রুতবেগে চলে যায়। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

    পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি আওয়াল কবির জয় সাংবাদিক সুবর্ণা খুনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

    শ্রীমঙ্গল অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি আনিসুল ইসলাম আশরাফী ও সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ মনসুর আহমদ সাংবাদিক ও সম্পাদক সুবর্ণা আক্তার নদীকে খুনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। খুনি সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও করেছেন তারা।