আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩১অক্টোবর,এম ওসমানঃ সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, প্রত্যেক মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ “সন্তান”। আর সে সন্তান যদি সুশিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে অমানুষ হয়ে যায় তাহলে সে সন্তানের পিতা-মাতার মতো হতোভাগা এ পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। শনিবার সকাল ১১টার সময় শার্শা পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে মা সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি হিসাবে তিনি একথা বলেন।
শার্শা পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোকলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভায় শেখ আফিল উদ্দিন এমপি আরো বলেন, আমার খুবই “শখ” শার্শা উপজেলার সকল ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। আর সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলেই আমার ডিজিটাল শার্শা উপজেলার স্বপ্ন স্বার্থক হবে।
সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন মায়েদের লক্ষ্য করে বলেন, আমার এই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে চায় আপনাদের সহযোগিতা। যে সহযোগিতা কোন অর্থনৈতিক বা আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য বলব না। আমার একমাত্র চাওয়া আপনার সন্তানকে ঘিরে। কেবল আপনার নিজ সন্তানের দেখভালের দ্বায়িত্বটুকু নিয়ে তার দিকে খেয়াল রাখবেন। সে যেন ঠিকমতো লেখাপড়া করে। একজন কৃষক যেমন ভাবে স্ব-যতেœ মাঠে ফসল ফলায় তদ্রুপভাবে আপনার সন্তানকে দেখাশোনা করলেই আমার ডিজিটাল শার্শা উপজেলাসহ প্রধাণ মন্ত্রীর ডিজিটাল সোনার বাংলা গঠন করা খুবই সহজ হবে বলে আমি বিশ্বাষ করি।
তিনি বলেন, আপনার সন্তান সুশিক্ষিত হলে আপনার লাভটাই সবচেয়ে বেশি। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, কোন সুশিক্ষিত সন্তান বোঝা নয়। আপনার সন্তান লেখাপড়া শিখে পরিপূর্ণ মানুষ হলে একদিন আপনার ঘর-ই আলোকিত হবে। আপনি হবেন এক গর্বিত বাবা-মা। এসাথে তার আলো ছড়াবে এলাকাসহ সমগ্র দেশে।
সময় এ মা সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসের উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, ৭ম শ্রেণীর ছাত্র আল-আমিন ও ছাত্রী রিয়া প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া ফেরদৌস, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রব, চেয়ারম্যান সোহারাব হোসেন, আয়নাল হক, বেনাপোল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ মহাসিন মিলন, সাসারন সম্পাদক বকুল মাহবুব প্রমুখ।
