শ্রীমঙ্গলে সমাজসেবকদের ভালোবাসায় দুই বৎসরের নিখোঁজ যুবক ঠিকানা পেল

    0
    260

    মামুন আহমেদ: দেশব্যাপী করোনা মৌসুমে যেখানে মানুষ মানুষ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে এরকম সময়ে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ভারসাম্যহীন নিখোঁজ ছেলেকে সামাজিক মর্যাদা দিয়ে সেবা-শুশ্রূষার মাধ্যমে তুলে দিলেন বাবার হাতে,এ ছিল এক পরম পাওয়া একজন পিতার জন্য একটি পরিবারের জন্য।পিতা পুত্রের মিলনের মাধ্যমে শেষ হলো একটি মানবিক গল্পের যার সৃষ্টি করেছিল একদল যুবক। জয় হলো মানবতার, ফেইসবুকের,জয় হলো সমাজসেবক প্রার্থ’দার,,জয় হলো আজিজুর রহমান নাঈম,শেখ সরোয়ার জাহান জুয়েল,মাহাদি হাসান,জুবেল আহমদ,তামজিদ পারভেজ,নাজমুল ইসলাম,সাদিক আহমদ রিফাত নাইমদের।
    চার,পাঁচদিন হলো ফেইসবুকের ছড়িয়ে পড়া মানবিক কাজের সহযোগিতায় ছিলেন ডাক্তার,সমাজকর্মী,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
    শ্রীমঙ্গল লাউয়াছড়ার সেই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক এর পরিচয় পাওয়া গেলো নাম শরীফ কে চিকিৎসা করিয়ে ফেইসবুকের মাধ্যমে নাম পরিচয়হীন এই ছেলেটার বাবা মায়ের সন্ধানে নামে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ছাত্রলীগের কিছু কর্মী এবং তাহাদের বন্ধু কিছু সমাজের কর্মী,উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে রাত জেগে পাহারা দেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা,আজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীরাসহ সাথে ছিল তাদের বন্ধু সমাজকর্মীরা।শরিফ কে তার বাবা ও দুলাভাই’য়ের নিকট হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নজরুল ইসলাম।

    এভাবেই যত্রতত্র শুয়ে থাকতেন মানসিক বিকারগ্রস্ত শরীফ।

    বাবার নিকট থেকে জানা যায় সে ২ বছর যাবত নিখোঁজ ছিলো। ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার কামারগাঁও ইউনিয়নে তার বাড়ি, বাবার নাম খুরশেদ আলী।
    শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যারা সহযোগিতা করেছেন সকলের প্রতি রইলও আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।
    মানবিক কাজে এগিয়ে এসে তাত্ক্ষণিক কিছু হৃদয়বান লোক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে নগদ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। সাথে কিছু কাপড়,খাবার,দিয়ে তাহাদের বিদায় জানানো হয়।ছাত্রলীগ ভালো কাজও করে এটা প্রমাণিত।
    প্রমাণ হলো-মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য,জয় হউক মানবতার।জয় বাংলা।