শ্রীমঙ্গল পুলিশের উপস্থিতিতে সংঘর্ষ থেকে বেঁচে গেলো দু’টি গ্রাম

    0
    485

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদপা উত্তেজিত জনতার ভয়াবহ সংঘর্ষ থেকে পুলিশের উপস্থিতিতে বেঁচে গেলো দু’টি গ্রামের অগণিত মানুষ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ২নং ভুনবীর ইউনিয়ন এলাকার সরকারবাজারএলাকায়  আজ শুক্রবার (১৫ মে) রাত্র ৮ টায় আলিশারকুল গ্রামের গিয়াস মিয়া ও জামাল মিয়ার সাথে রাজপাড়া দুদু মিয়া বালু মহালদারের বালু পরিবহণের ট্রাক নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঠেলা ধাক্কা ও কিল-ঘুষির মত ঘটনা ঘটে।

    উক্ত ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে স্থানীয় মুরুব্বি মুসাব্বির মিয়া নামের একজনের মাথায় আঘাত লেগে ফেটে গিয়ে আহত হয়।
    মুরুব্বি মুসাব্বিরের আহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলিশারকুল গ্রাম এবং রাজপাড়ার বাদে-আলিশারকুল গ্রামের মধ্যে আবার উত্তেজনা বিরাজ করে। উত্তেজনার সংবাদ পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে সৃষ্ট ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মুরুব্বিরা একমত হয় এবং পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে থানায় ফিরে আসে।

    পরবর্তীতে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত সাড়ে ন’টার দিকে আলিশারকুল গ্রামের মোঃ জালাল মিয়া (বর্তমান মেম্বার) ৬নং ওয়ার্ড ২নং ভুনবীর ইউপি এবং অপরপক্ষ রাজপাড়া ও বাদে-আলিশারকুল গ্রামের আহাদ মিয়া (বর্তমান মেম্বার) ৫নং ওয়ার্ড ২নং ভুনবীর ইউপিঁর এই দুইজনের মধ্যে টেলিফোনে হুমকি ধামকির জের ধরে উভয় পক্ষের হাজারো উত্তেজিত গ্রামবাসী দেশিয় অস্ত্রসস্র নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে।

    দুই দল গ্রামবাসীর আবারও উত্তেজনার সংবাদ থানায় পৌঁছালে সার্কেল এএসপি আশরাফুজ্জামান এর নির্দেশে ওসি আব্দুস ছালেক এর নেতৃত্বে এবং তদন্ত ওসি সোহেল রানার উপস্থিতিতে পুলিশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এতে সম্ভাব্য দাঙ্গাকারিরা কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পরে । পরে পুলিশ ও স্থানীয় মুরুব্বিগন কর্তৃক সমাধানের আশ্বাস দিলে জালাল মিয়া মেম্বারের লোকেরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়ীতে ফিরে যান।

    অপরদিকে রাজপাড়া গ্রামের আহাদ মেম্বারসহ তাদের গ্রামের  মুরুব্বিদের সাথে সার্কেল এএসপি আশরাফুজ্জামান এবং ওসি আব্দুস ছালেকসহ উভয় পক্ষের ২০ জনকে নিয়ে সৃষ্ট ঘটনার সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়।

    এ ব্যাপারে সার্কেল এএসপি আশরাফুজ্জামান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,”দুই দল গ্রাম বাসীর উত্তেজনার সংবাদ পেয়ে ওসি আব্দুস ছালেক ও শ্রীমঙ্গল থানার বেশ কয়েকজন এস আই এবং পুলিশসদস্যসহ এসপি স্যারের নির্দেশে দাঙ্গা পুলিশের একটি দল নিয়ে ঘটনা স্থলে দ্রুত পৌঁছে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে উত্তেজনাকর পরিবেশ শান্ত করে মীমাংসার সিদ্ধান্ত হচ্ছে।