শ্রীমঙ্গলে বাক প্রতিবন্ধি যুবতী গনধর্ষনের স্বীকার !

    1
    252

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮জুনঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫ নং কালাপুর ইউনিয়নের মাজদিহি চা বাগানে পিতা মাতা জীবিত না থাকায় চা শ্রমিক চাচা গৌরাঙ্গ গোয়ালার ঘরে লালিত মনি গোয়ালা (১৯) পিতা-মৃত রাজারাম গোয়ালা নামে এক বাক প্রতিবন্ধি যুবতীকে গনধর্ষন করার অভিযোগ উঠেছে ৩ বখাটের বিরুদ্ধে।

    ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাজদিহি চা-বাগানের ৮ নম্বার লাইনে।গত ২৫ এপ্রিল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে। ১৩ দিন পূর্বে গনধর্ষনের ঘটনাটি ঘটলে ও এর কোন সুবিচার আজ পর্যন্ত মিলেনি বলে প্রতিবন্ধি যুবতির পরিবার সূত্রে জানা যায়।

    ওই সুত্র থেকে আরও জানা যায়,স্থানীয় মেম্বারসহ এলাকার পঞ্চায়েত নিয়ে একটি বিচারে অভিযুক্ত দেরকে ৩০০০০/ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ প্রদানের আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপন করায় মেডিকেল চেক আপ করানোর জন্য প্রস্তূতি নেয় প্রতিবন্ধি যুবতীর  পরিবার।

    এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধির স্বজনরা মেয়েটিকে মেডিকেল চেক আপ করানোর জন্য শ্রীমঙ্গল উপজেলার নৌকার নতুন প্রজন্মের সহ-প্রচার সম্পাদক ফারুক আহমদের শরণাপন্ন হলে তার সহযোগিতায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাক প্রতিবন্ধি মনি গোয়ালা ওই হাসপাতালের ৩য় তলার ২০নং বেডে চিকিৎসাধীন।
    বাক প্রতিবন্ধি এতিম যুবতির পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাজদিহি চা বাগানের ৮ নম্বার লাইনে চা শ্রমিক চাচা নিজ স্ত্রী-সন্তান সহ বাক প্রতিবন্ধি মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন ওই বাগানে।

    ঘটনার দিন সোমবার দুপুরে বাক প্রতিবন্ধি মেয়েটি পার্শ্ববর্তী শিবু ভুঁইয়ার বাড়িতে পানি আনতে গেলে বাকপ্রতিবন্ধি মেয়েটিকে জোর পুর্বক ধর্ষন করে ৩ বখাটে।যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন, একই এলাকার – কণ্ঠু বাউরি (২১), পিতা-সাগর বাউরি, জগদীশ বাউরি (১৯),পিতা-দয়া বাউরি,আপন ভুইয়া (১৮),পিতা শিবু ভুইয়া।

    এ ব্যাপারে ৫নং কালাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতলিবের সাথে  এ প্রতিনিধির  সাথে কথা হলে তিনি বলেন-এ ধরনের কোন ঘটনা আমাকে কেউ এখনো জানায়নি,জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি আরও বলেন আমি স্থানীয় ইউপি সদস্য সুভাষ বাকতির সাথে কথা বলবো।

    আমার সিলেট প্রতিনিধি ইউপি সদস্য মাজদিহি বাগানের সুভাষ বাকতির মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    থানায় কেন অভিযোগ করেননি এমন প্রশ্ন করলে মেয়েটির চাচা গৌরাঙ্গ বলেন, এলাকায় সুবিচার না পেলে মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে থানায় যাব। তিনি আরও বলেন, আমরা গরীব মানুষ, মেয়ের বাবা মা নেই চাচা হিসাবে আমি অনেক কষ্ট কইরা বাগানে কামকাজ কইরা কোন রকমে সংসার চালাই। আমি আমার এই প্রতিবন্ধি মেয়ের উপর অত্যাচারের বিচার চাই।