শ্রীমঙ্গলে বলৎকারের অভিযোগে শিক্ষক বহিষ্কার

    0
    308

    জহিরুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি অভিজাত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে।বলাৎকারের অভিযোগ উঠায়  এর সত্যতা যাচাইয়ে অনুকূল পরিবেশ তৈরির সুবিধার্তে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
    গত মঙ্গলবার বিটিআরআই এলাকা সংলগ্ন একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক কর্তৃক বলাৎকারের ঘটনার শিকারের অভিযোগকারী ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীর বাবা এই বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
    এবিষয়ে ছাত্রের বাবা জানান,গত ০১ ডিসেম্বর দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমার ছেলেকে ফোন করে টিচার্স কোয়াটারের তার নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে বলেন পরীক্ষায় ভালো নম্বর দিয়ে পাশ করিয়ে দিবে বলে ফুসলিয়ে বলাৎকার করার চেষ্টা করে।আমার ছেলে এতে রাজি না হওয়ায় তাকে জোড় করে বলাৎকার করার চেষ্টা করে।পরে সে চিৎকার করে ঘর থেকে বের হয়ে আসে। তার চিৎকারে টিচার্স কোয়ার্টার থেকে অন্যান্য লোকজন বের হয়ে আসলে আমার ছেলে রক্ষা পায়। পরে আমরা বিটিআরআই’র পরিচালককে বিষয়টি অবগত করি।বিটিআরআই’র পরিচালকদের চেষ্টায় ফলে আমার ছেলে রক্ষা পায়।
    এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদ সাময়িকভাবে বহিস্কার হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
    এই শিক্ষকের সাথে করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ও কল রেকর্ড ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

    বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) পরিচালক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরআই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটিকে আগামি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।আমরা এই প্রতিবেদনের সত্যতার ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিব।

    শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবির বলেন, আমাদের কাছে শিক্ষার্থীর বাবার দেয়া একটি অভিযোগ এসেছে।আমরা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ          প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

    উল্লেখ্য,বলাৎকারের অভিযোগ নিয়ে উপজেলাব্যাপী ছাত্রদের অভিভাবকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে নানা আতঙ্ক, কেহ কেহ এক বাক্যে স্বীকার করে নিলেও অনেকে এটিকে সাজানো বলেও দাবী করছে।তবে সচেতন মহলের ধারনা তদন্ত করলে আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে।