শ্রীমঙ্গলে ধর্ষিত ছাত্রীর জোরপুর্বক গর্ভপাতের অভিযোগে মামলা

    1
    221

    ধর্ষিত ছাত্রীর পরিবার বিচারের আশায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে!

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০জুলাইঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মোহাজেরাবাদ গ্রামের স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রী থাকা কালীন অবস্থায় ও বর্তমানে স্থানীয় একটি হাই স্কুলের ছাত্রী শান্তা আক্তার(ছদ্মনাম) কিশোরী বয়সেই ভাল মন্দ কিছু বুঝে না উঠার আগেই লম্পটদের লুলুপ দৃষ্টিতে পরে হারিয়েছে জীবনের মুল্যবান সম্পদ।

    স্থানীয় ও ভিকটিমের পরিবার সুত্রে জানা যায়,বিচারের আশায় একমাত্র মা-ভাইকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পিতৃহারা সন্তানের ওই পরিবার।

    আদালত সুত্রে মামলার এজাহারের অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৬/১০/২০১৪ তারিখ রোজ রোববার বিকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের (৪০) পিতা মৃত আলী আজগর ভিকটিমকে উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার কথা বলে নিজ বাড়িতে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে, এ কথা কারো সাথে যাতে না বলে তাই তাকে হুমকি দেন।কয়েকমাস মাস পরে ভিকটিমের শারীরিক অবনতি দেখা দিলে আবু তাহের তাকে দেখতে যান এবং ভিকটিমের মাকে বলেন তার চিকিৎসার দরকার।কিন্তু টাকা পয়সা না থাকায় ভিকটিমের মা ভিকটিমকে আবু তাহেরের সাথে চিকিৎসা নিতে পাঠিয়ে দেন। আবু তাহের ভিকটিমকে মৌলভীবাজার জেলা শহরের  প্রাইভেট ক্লিনিক হোপ মেডিক্যালে নিয়ে তার ৫ মাসের গর্বপাত ঘটিয়ে পরের দিন ভিকটিমের মায়ের কাছে ফেরত পাঠান। এ কাজে  একই  এলাকার আরও দু জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন- ইয়াছিন মিয়া (৩৮), পিতা রহিম বক্স ও আবু সায়েদ(৪৫) পিতা আলী আজগর।

    পরে ভিকটিমের মা (মামলার বাদিনী) মেয়ের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে আরও খারাপ এবং অতিরিক্ত রক্তপাত দেখে ভিকটিমকে সকল কথা খুলে বলার জন্য বললে  ভিকটিম সব  কিছু  তার মায়ের কাছে খুলে বলেন।

    মামলার অভিযোগে আরও জানা যায়, বাদিনী ভিকটি মের সব কথা শুনে এলাকার মুরুব্বীদের  শরণাপন্ন হলে কোন সমাধান না পেয়ে স্থানীয়  ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনিও লিখিত দিয়ে গ্রাম আদালতে এ জাতিয় বিচার করা সম্ভব নয় জানিয়ে দিলে ভিকটিমের মা “নারী ও শিশু  নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে” মামলা দায়ের করেন  মামলা নং-৩৩৭/২০১৫।

    উল্লেখ্য, “নারী ও শিশু  নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের” বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি যথাযত তদন্তের জন্য শ্রীমঙ্গল থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করে কপি প্রেরন করবেন বলে আদালত সুত্রে জানা গেছে।