শ্রীমঙ্গলে আলোচিত প্রতিবন্ধী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

    0
    462

    “পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার আরো কয়েকজন সহযোগীর মাধ্যমে একটি সিএনজি অটোরিক্সা দিয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর নামে রাস্তায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে নিয়ে যায় !”

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৮জানুয়ারী,আলী হোসেন রাজন,নিজস্ব প্রতিনিধি,মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা হাজীপুর এলাকায় আলোচিত প্রতিবন্ধী হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
    আজ বৃহস্পতিবার দূপুরে পিবিআই কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান, পূর্বের শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আপন ভাতিজা বাক ও শারিক প্রতিবন্ধি আরিফুল ইসলাম আরিফ হত্যা করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে প্রথমে শ্রীমঙ্গল থানায় প্রতিবন্ধির বাবা মোঃ আরবেশ আলী বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে শ্রীমঙ্গল থানা ১৮ জন আসামীর মধ্যে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র পাঠান। ৩ জনের নাম বাদ দেয়ার কারনে আদালতে না রাজি দেন মামলার বাদী। পরে আদালত পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। পিবিআইর দতন্তে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মামলার ২ নং সাক্ষী মোঃ ইয়াকুত আলী ও মোঃ তোফায়েল আহমেদ গ্রেফতার করেন।

    পরে তারা আদালতে প্রতিবন্ধি আরিফকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়। হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করে পিবিআই। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন আছে।

    উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ২৪ জুন সন্ধ্যার কিছু পূর্বে হাজীপুর গ্রামে একটি যৌথ পুকুরে রান্নায় ব্যবহৃত হান্ডিবাসন ধোয়াকে কেন্দ্র করে একই বাড়ির ২ পক্ষের মধ্যে কথাকাটাটির জের ধরে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষে ইট পাটকেল নিক্ষেপ হলে এতে ৬/৭ জন আহত হয়। সংঘর্ষ থেমে গেলে আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

    এ ঘটনার প্রায় পৌনে এক ঘন্টা পর প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে একই বাড়ির প্রতিবন্ধি আরিফকে তার চাচা মোঃ ইয়াকুত মিয়া ঘর থেকে উঠানে এনে লাটি দিয়ে মাথায় আঘাত করে আহত করেন।

    পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার আরো কয়েকজন সহযোগীর মাধ্যমে একটি সিএনজি অটোরিক্সা দিয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর নামে রাস্তায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে নিয়ে যায় !