শ্রীমঙ্গলে অগ্নিকান্ডে ৫ টি বিস্কুটের গুদাম পুরে ছাই

    0
    299

    “অগ্নিকান্ডের ফলে ঘণ্টা ব্যাপী শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার রোডে দূর পাল্লার গাড়ীসহ সকল প্রকার যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে”

     সাদিক আহমেদ,নিজস্ব প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডস্থ ১ নং পুলের আালাবক্স ম্যানশনের মেসার্স মদীনা এন্টারপ্রাইজের গোডাউনসহ রোমানিয়া,রিডিশা,প্রাণ,হক,মধুবন বিস্কুটের ডিলারের গোডাউনে অগ্নিকান্ড ঘটে।আজ শুক্রবার দিবাগত রাত পোনে ১০ টায় অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
    এতে কয়েকটি  গোডাউন জ্বলে যায়।কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানা না গেলেও পরবর্তিতে বলা হয় প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হতে পারে ।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম আাগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছিলো।অগ্নিকান্ডের কারণ তখন পর্যন্ত জানা যায়নি তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আাগুন লেগে থাকতে পারে।
    ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা সুবিধা করতে না পারায় এক পর্যায়ে স্থানীয় যুবকদের আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করতে দেখা যায়।

    সরজমিনে দেখা যায় প্রায় ঘন্টাব্যপি কাজ করেও আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ইউনিট।এক পর্যায়ে স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে।

    এসময় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিলো।আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করায় মৌলভীবাজার রোডের যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে।এসময় ঘণ্টা ব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয় যাত্রীরা পরে হয়রানিতে।
    ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের একটি ফোর্স ঘটনাস্থলয়ে শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে।
    এদিকে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে খুব একটা সুবিধা করতে না পারায় তাদের সাহাজ্য করার জন্য ও আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  রাত সোয়া এগারোটা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছিলো শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের যৌথ টিম।
    শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন আমার সিলেটকে বলেন,”প্রায় ২ ঘন্টার চেষ্টায় সম্পূর্ণ আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে।এতে আমাদের ২ টি ফায়ার ইউনিট কাজ করেছে।এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।এদিকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত সম্পর্কে তিনি বলেন-“সুত্রপাত কিভাবে ঘটেছে তা সঠিক বলা যাচ্ছে না।তবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই সাধারণত বেশীরভাগ আগুন লেগে থাকে।এখানেও আগুন শর্টসার্কিট থেকেই লেগে থাকতে পারে”।
    এদিকে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান ও কর্মীদের অদক্ষতা নিয়ে স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এক পর্যায়ে।এসময় আগুন নিয়ন্ত্রনে স্থানীয়দের উদ্যোগ নিতে দেখা যায়।এ বিষয়ে রাজন বলেন”যখন এ ধরণের কোনো অগ্নিকান্ড ঘটে তখন আমরা এমনি মানসিক প্রেসার ও ডিপ্রেশনে থাকি।তাছাড়া যেহেতু অগ্নিকান্ডের শিকার বিল্ডিংটির সবকিছু সম্পর্কে আমাদের আইডিয়া নাই তাই একটু বিলম্ব হয়েছে।এক্ষেত্রে স্থানীয়রা আমাদের সাহাহ্য তো করতেই হবে”।
    ফায়ারসার্ভিসের পানির টাংকির লিক নিয়ে প্রশ্ন করলে রাজন বলেন”যখন আমরা পাম্প ফিটিং করি তখন কিছু পানি স্বাভাবিকভাবেই গড়িয়ে পড়ে।তবে এটা কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নয়”।আপডেট