শ্রীমঙ্গলের ভীমশীতে ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত

    0
    338

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১৫এপ্রিল,হৃদয় দাস শুভ ও কাজল শীলঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ভূনবীর ইউনিয়নের ভীমশী বাবুরবাজারে ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে দিনব্যাপী চড়ক পূজা শুরু হয়। প্রায় অর্ধশত বছরের ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলাকে কেন্দ্র করে ভীমশী এলাকাসহ আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায় ,এমনকি শ্রীমঙ্গল শহর থেকে দর্শনার্থীরা মেলা ও চড়ক পূজা দেখতে ভীমশী বাবুরবাজারে ভীড় জমান।

    ঐতিহ্যবাহী উৎসব দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কয়েক হাজার মানুষের ঢল নামে। চড়ক পূজা উৎসবের ১০-১২দিন পূর্ব থেকে বিভিন্ন এলাকার পূজারীর মধ্যে ১৫-২০ জন সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষিত হয়ে গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিব-গৌরীসহ নৃত্যগীতের মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তিতে অংশ নেন। চড়ক পূজার ২ দিন পূর্বে পূজারীরা শ্মশানে গিয়ে পূজা অর্চনা করেন ও শেষে গৌরীর বিয়ে, গৌরী নাচ ও বিভিন্ন গান গেয়ে ঢাকের বাজনায় সরগরম করে রাখনে গোটা এলাকা।

    পূজার আগের দিন নিশি রাতে তান্ত্রিক মন্ত্র ধারা কাঁচ পড়া দিয়ে জ্বলন্ত ছাইয়ের উপর কালী সেজে নৃত্য করে। অন্য ভক্তগণ নৃত্যের তালে, ছন্দে ঢোলক, কাশি, করতাল বাজিয়ে থাকেন।চড়ক গাছের চূড়া থেকে মাচা পর্যন্ত চারটি পাখা বেধে এবং তার সাথে চারটি মোটা বাঁশ ও মোটা লম্বা রশি যুক্ত করা হয়।পরে এই গাছের সাথে সংযুক্ত দড়িতে ঝোলানো হয় পিঠে বর্শি গাথা পুজারীদের। তান্ত্রিক মন্ত্র পরে পুজারীদের পিঠে বর্শি গাথে দেন। পিঠে বর্শি গেথে দড়িতে ঝুললেও তাদের শরীর থেকে রক্ত পড়ে না।

    শ্রীমঙ্গল শহর থেকে যাওয়া কয়েকজন দর্শনার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানান “ব্যস্ত শহরে জীবনের একঘেয়েমী কাটাতে বছরের একটা বিশেষ দিনে (চৈত্র সংক্রান্তি) আমরা এখানে এসে মেলা ও চড়ক পূজা উপভোগ করি” ৷

    চড়ক পূজা উদযাপন কমিটির সম্পাদক মিন্টু দাশ বলেন “প্রতি বছর এলাকার মায়-মুরুব্বি , মেম্বার চেয়ারম্যান সকলের সহযোগীতা নিয়ে মেলা ও চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয় ৷