শ্রীমঙ্গলে ছাত্রলীগ কর্মীকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা

    0
    282

    “বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান পলাশের অসহায় বাবা”

    বিশ্ব্যজিৎ আচার্য্য পলাশ (২৬) , শ্রীমঙ্গল।

    প্রিতম পাল,শ্রীমঙ্গলঃ  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী বিশ্ব্যজিৎ আচার্য্য পলাশের (২৬) চিকিৎসার জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন। জীবন-মৃত্যুর  সন্ধিক্ষণে বর্তমানে পাঞ্জা লড়ছে সে। সে শহরের বারিধারা এলাকার বেনু আচার্য্যের একমাত্র ছেলে। পলাশ শ্রীমঙ্গল উপজেলা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী এবং সর্বশেষ কাউন্সিলে সে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলো।
     
    পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বেনু আচার্য্য। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে সামান্য বেতনে কর্মরত আছেন। ছেলের এমন অবস্থায় এখন দিশেহারা অবস্থা পরিবারের সকল। একমাত্র ছেলের এমন পরিণতিতে খাওয়া দাওয়া বন্ধ মায়ের। একমাত্র বোন শিমু আচার্য্য ভাইয়ের জন্য সর্বক্ষণ আহাজারি করছেন।
     
    পলাশের বাবা বেনু আচার্য্য বলেন, আমার একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে যে টাকার প্রয়োজন তা কিছুতেই যোগাড় করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই একমাত্র ছেলের জীবন বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করছি।
     
    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার চিকিৎসার জন্য  প্রায় ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু প্রাথমিক ব্যয় ৬ লাখ টাকা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে পলাশের পরিবার। বন্ধুদের সহযোগিতায় ১ লাখ এবং এক নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে ১ লাখ মোট ২ লাখ টাকা হাসপাতালে জমা দিয়েছেন। বাকী টাকার জন্য হিমশিম খাচ্ছে পলাশের পরিবার।
     
    এরই মধ্যে পলাশের বন্ধুরা তার চিকিৎসার সাহায্যের জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ভাবে সক্রিয় হয়েছেন।
    পলাশের সাথে থাকা তার বন্ধু শুভ্র সেন আকাশ বলেন, অনেক কষ্টে আমরা বন্ধুরা মিলে ১ লাখ টাকা যোগাড় করেছি। কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য যে বিশাল অংকের টাকা দরকার তা কিভাবে আসবে ভেবে পাচ্ছি না। সমাজের বিত্তবানসহ প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য ছাড়া পলাশের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়।
     
    উল্লেখ্য, শুক্রবার (২০ফেব্রুয়ারি) বিকালে শ্রীমঙ্গল পৌর শহরে চলন্ত অবস্থায় মোটর সাইকেলের পেছনের চাকা ব্লাষ্ট হয়ে এই মারাত্মক দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহত হবার পর স্থানীয় এবং মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পলাশকে নিয়ে গেলে উভয় হাসপাতাল থেকেই অবস্থা গুরুতর বলে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে রেফার্ড করা হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা  তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। বর্তমানে পলাশ ঢাকা এ্যাপলো হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে।