শ্রীমঙ্গলে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিঃএলাকায় মানববন্ধন

    0
    199

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫সেপ্টেম্বর,নিজস্ব প্রতিবেদক: ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্খায় বাধ নির্মানের দাবীতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসি।
    শ্রীমঙ্গলের মির্জাপুর ইউনিয়নের গোপলা নদীর পূর্ব পাড়ে এবং হাইল হাওরের উত্তর পাড়ে অবস্থিত যোগাযোগ বিচ্ছিন যতরপুর গ্রামের পশ্চিম ও দক্ষিন পাশের প্রতিরক্ষা বাধঁ রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে। গোপলা নদীর বাঁধ রক্ষায় মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী।
    বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরের উত্তর পাড়ে ও গোপলা নদীর পূর্ব পাড়ে যতরপুর গ্রামের মোল্লাকান্দি এলাকায় হাওর রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গা অংশের উপর গ্রামবাসী মানবন্ধনের আয়োজন করে মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুফিয়ান চৌধুরী। এসময় বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মুহিত পাল,ফয়জুল হক মোল্লা, সাবেক সদস্য রুসন মিয়া, গ্রামের মুরব্বী মসুদ মিয়া ও তছকির মিয়া।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মির্জাপুর ইউনিয়নে যতরপুর এই গ্রাামটিতে নেই কোন বিদ্যুতের সুবিধা। নদীর পাড় ভাঙ্গার কারনে এই গ্রামের যতরপুরের শিশুরা বিদ্যালয় যেতে পারছে না। নদীর পানির ঢেউয়ে রাস্তা ভেঙ্গে কারনে গোপলা নদী পথে নৌকা দিয়ে এ গ্রামের শিশুরা কেহই বিদ্যালয় যেতে রাজি না।
    বক্তারা বলেন, এই হাওর রক্ষাবাঁধ ভেঙ্গে গেলে শ্রীমঙ্গল উপজেলার যতরপুর, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আটঘর, সিকরাল, গবিন্দপুর, জা কান্দিসহ ৮/১০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাবে। নষ্ট হয়ে যাবে শত শত একর ফসলের জমি। তাই মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত এই গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধটির ভাঙ্গা অংশ অতি জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের দাবী জানান সরকারের কাছে গ্রামবাসী ।
    তারা আরোও জানান, চলমান বন্যায় এই বাঁধটি প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার বিশাল ক্ষতি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গা রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে। রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় রিক্সা এবং মটর সাইকেল নিয়ে খেয়াঘাট পর্যন্ত যাওয়াও এখন কষ্ট সাধ্য। মানুষ ১৫/২০ কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরে ও মির্জাপুর ইউনিয়নে যাতায়াত করছেন।
    এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, এই বাঁধটিতে কয়েক বছর আগে কাজ হয়েছে। এবারের বন্যায় এটি বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানি না কমা পর্যন্ত এর মেরামত কাজ সম্ভব হবে না। তবে এটি তাদের নজরদারীতে রয়েছে।