শেষ সময়ের কাজে ব্যস্ত শ্রীমঙ্গলের কামার শিল্পীরা

    0
    209

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১সেপ্টেম্বর,স্টাফ রিপোর্টার: মাত্র অার কয়েক ঘণ্টা।রাত পোহালেই মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় ও অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদুল অাযহা।
    অাল্লাহ তাঅালার জন্য ত্যাগ ও বিসর্জনের এক মহিমান্বিত নিদর্শন কোরবানি দেয়া।হযরত ইবরাহিম (অা:) তার স্বয়ং পুত্র ইসমাইল (অা:) কে অাল্লাহর জন্য কোরবানি দেয়ার অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছিল।সেই থেকে পুরো বিশ্বের মুসলমানরা প্রতি বছর পশু কোরবানি দিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করে থাকে।
    প্রত্যেক মুসলমান তাই আলাদা ভাবে ব্যস্ত থাকেন নিজের প্রিয় পশুটি কেনার জন্য।পশু হাট গুলোতে থাকে তাই উপচে পড়া ভীড়।

    আর পশু কোরবানি করতে প্রয়োজন হয় বিভিন্ন রকম ছুড়ি,চাপাতি,দা,বটি ইত্যাদি।তাই কামারশালা গুলোতেও ভীড় জমান পশু ক্রেতারা।আর তাই এই সময়টাতে খুব ব্যস্ত সময় পাড় করেন কামাররাও।

    ঈদের শেষ মুহুর্তে কেমন কামার দের ব্যবসা তা জানতে ‘আমার সিলেট’ পাড়ি জমান সাগর দীঘি পার সংলগ্ন শ্রীমঙ্গল কামার পাড়ায়।কামার পাড়ায় ঢোকা মাত্র চোখে পড়লো কামারদের বিভিন্ন রকম যন্ত্রপাতি বানানোর দৃশ্য।নানান রকম শব্দে মুখরিত কামার পাড়া।এসময় কথা হয় বেশ কয়েকজন কামারের সাথে।লৌহ সামগ্রী তৈরিতে বেশ ব্যস্ত সময় পাড় করছেন শ্রীমঙ্গলের কামার পাড়ার এই শিল্পীরা।
    আমরা কয়েকজন কামারের সাথে কথা বলতে গেলে “পল্টু ধর ও অরূণ ধর” নামে দুইজন কামার আমার সিলেটকে জানান”বছরের এই সময়টাতেই আমাদের খুব লাভজনক ব্যবসা হয়।কোরবানি দেয়ার জন্য ক্রেতারা লৌহ সামগ্রী কেনার জন্য খুব ব্যস্ত থাকেন।”
    ক্রেতারা কোন ধরণের সামগ্রী বেশী নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ‘পল্টু ধর’ বলেন- “চাপাতি টাই বেশী নিচ্ছে ক্রেতারা।তাছাড়া চামড়া ছাড়ানোর ছুড়ি গুলোও বেশী বিক্রি হচ্ছে”।
    কিছুক্ষণ হেঁটে আমরা অন্য আরেকটি কামারশালায় যাই।সেখানে গিয়ে কথা হয় ‘বিষ্ণু ধর’ নামে এক কামারের সাথে।গতবারের তুলনায় কামার পাড়ার বাজার কেমন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ‘বিষ্ণু ধর’ আমার সিলেট কে বলেন-“গতবারের তুলনায় বাজার কম।ক্রেতা সমাগমের ভীড় থাকলেও তারা নতুন জিনিস কম কিনছে।প্রায় সবাই পুরাতন জিনিস রিপেয়ার করানোর জন্য আসে”।
    কোরবানি ঈদের সাথে কামাররা বেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।কেননা পশু কোরবানির সকল ছুড়ি-চাপাতি বানানোতে ব্যস্ত থাকেন কামাররা।আর কোরবানির কাজে অনিবার্য এসব সামগ্রী কিনতে ভীড় জমান ক্রেতারা।তাই এই সময়টাকেই ব্যবসার শ্রেষ্ট সময় বলে মনে করছেন শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী এই কামারপাড়ার কামার শিল্পীরা।