আমারসিলেট24ডটকম,২৭এপ্রিলঃ
আজ রবিবার ২৭ এপ্রিল শেরেবাংলা এ কে (আবুল কাশেম)ফজলুল হকের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা আলাদা বাণী দিয়েছেন। এছড়াও দিবসটি পালনের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, মাজারে পুষ্প অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাত। শেরে বাংলা জাতীয় স্মৃতি সংসদ ও বিশ্ব বাঙালী সম্মেলন আজ সকাল সাড়ে ৮টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আশরাফুন্নেছা মোশাররফ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ব বাঙালী সম্মেলন ও শেরে বাংলা জাতীয় স্মৃতি সংসদের সভাপতি কবি মুহম্মদ আব্দুল খালেক।
এছাড়া শেরে-ই-বাংলা পরিষদ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ, দৈনিক নিউএজ সম্পাদক নুরুল কবীর, সাবেক সচিব মার্গুব মোর্শেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনি, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল এবং বরিশাল বিভাগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির দুলু। শের-ই-বাংলা পরিষদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় শেরে বাংলার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাত।
রাষ্ট্রপতির বাণী
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, শেরেবাংলা ফজলুল হক উপমহাদেশের এক অসাধারণ রাজনৈতিক নেতা। প্রায় অর্ধ-শতাব্দীর অধিককাল তিনি গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি বলেন, এ দেশের কৃষক শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এ কে ফজলুল হকের অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শেরেবাংলা এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন উল্লেখ করে মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলার শোষিত ও নির্যাতিত কৃষকসমাজকে ঋণের বেড়াজাল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে, শেরেবাংলার উদ্যোগে গঠিত ‘ঋণ সালিশী বোর্ড’ সর্বমহলে আজো প্রশংসিত। তার উদ্যোগে বঙ্গীয় চাকুরি নিয়োগবিধি, প্রজাস¦ত্ব আইন, মহাজনী আইন, দোকান কর্মচারী আইন পাশ হয়। ফলে এ অঞ্চলের অবহেলিত কৃষক-শ্রমিক উপকৃত হন। তিনি এ মহান নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, এ দেশের কৃষকদের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। বাংলার কৃষক ও মেহনতী জনতার অকৃত্রিম বন্ধু শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুর হকের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, তার (ফজলুল হক) নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনের ফলেই দেশে প্রজাস্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। বাঙালি কৃষক সমাজ সামন্তবাদের শোষণ থেকে মুক্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য এ কে ফজলুল হকের অসীম মমত্ববোধ এ দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি বলেন, আমি মহান আল্লাহর দরবারে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।