আমারসিলেট24ডটকম,১৪ডিসেম্বরঃ আসন্ন২০১৪সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সাথে দেয়া হলফনামায় শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সম্পদের বিববরণ দেয়া হয়েছে। আজ শনিবার থেকে নির্বাচন কমিশন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য ভোটারদের কাছে প্রচার করবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, হলফনামায় ৭টি ব্যক্তিগত তথ্য উল্লেখ করতে হয়। গত নবম জাতীয় সংসদ থেকে তা জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা শুরু হয়েছে।
নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সাথে হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কোনো দায়-দেনা নেই। তার নগদ টাকা রয়েছে মাত্র ৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। ব্যাংকে ১ কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে। স্বর্ণালংকার আছে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের। আর সঞ্চয়পত্রে স্থায়ী আমানত ৫ কোটি টাকা প্রায়। এতে দেখানো হয়, তার নিজের নামে ৬ একর কৃষি জমি রয়েছে। যৌথ মালিকানায় রয়েছে আরো ৬ একর। কৃষিখাতে তার বার্ষিক আয় ৭৫ হাজার টাকা।
এছাড়া বাড়ি ভাড়া থেকে শেখ হাসিনার আয় হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আর মৎস্য খামারের ব্যবসা থেকে আসে সাড়ে ৪ লাখ। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে বছরে আয় হয় সাড়ে ৪৬ লাখ টাকা। গাছ বিক্রি করে বছরে পান ১০ লাখ টাকা। এদিকে হলফনামায় ঠিকানা হিসাবে দেখানো হয়েছে ধানমণ্ডির সুধাসদনকে। তার কোনো দায়-দেনা নেই বলে উল্লেখ করা হয়। তিনি রংপুর-৬ সহ ৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ।
অন্যদিকে ফার্স্ট সিকিউরিটির ব্যাংকের কাছে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ পৌনে ৩ কোটি টাকার দায় রয়েছে বলে জানানো হয়। পক্ষান্তরে শুধু শেয়ার থেকেই তিনি আয় করেন কোটি টাকা। শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র থেকে তার আয় দেখানো হয়েছে ৯১ লাখ টাকা। চাকরি থেকে বছরে ১৪ লাখ ও ব্যবসা থেকে বছরে মাত্র ৬২ হাজার টাকা তার আয় আসে। তিনি ঢাকা-১৭ সহ ৩টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
হলফনামায় দেখানো হয়েছে, তার নগদ টাকা মাত্র ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এছাড়া বন্ড, ঋণপত্র, শেয়ার রয়েছে ৪০ কোটি টাকার মতো। সঞ্চয়পত্রে স্থায়ী আমানত সাড়ে ৭ কোটি টাকা। বাস ট্রাকের ব্যবসা রয়েছে সোয়া কোটি টাকার। নিজের নামে কৃষি জমি না থাকলেও দালান-এপার্টমেন্ট আছে দেড় কোটি টাকার মতো।