শিক্ষার্থী বন্ধুকে হত্যা করে ৫০লাখ টাকা দাবি:গ্রেপ্তার ২

    0
    261

    আমারসিলেট 24ডটকম,১১অক্টোবর :রাজধানীতে রিফাত (২৩)  নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা করেছে তারই এক বন্ধু এবং এক সহযোগী। হত্যার পর মুক্তিপণের ৫০ লাখ টাকা নিতে এসে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে অপহরণকারী দুই যুবক। গ্রেপ্তার হওয়া দুই যুবকের নাম মাসুদ রানা সুমন (২৫)ও লিংকন সরকার (২৩)। গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে অপহরণের পর মদের সঙ্গে চেতননাশক ঔষধ খাইয়ে আটকে রাখা হয়।অবশেষে,এক পর্যায়ে তাকে ইট দিয়ে মাথা থেতলিয়ে দিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রিফাতের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। রিফাত নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের নবম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন বলে জানা গেছে।

    র‌্যাব-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হান উদ্দিন খান জানান, রিফাতকে গত মঙ্গলবার ফুঁসলিয়ে নিজের রাজাবাজারের বাসায় নিয়ে যান মাসুদ রানা। মদের সঙ্গে চেতননাশক খাইয়ে রিফাতের হাত-পা বেঁধে ওই বাসার নিচতলায় আটকে রাখা হয়। এরপর কক্সবাজারে রিফাতের পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন সুমন। রিফাতের বাবা মাওলানা ফজলু মিয়া কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এসে বিষয়টি শেরে বাংলানগর থানা ও র‌্যাবকে জানান। র‌্যাব সদস্যরা প্রথমে রিফাতের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মুক্তিপণের টাকা কোথায় দিতে হবে তা জানতে চান।
    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হান বলেন, মাসুদ রানা সুমন গত বুধবার থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে রিফাতের বান্ধবীর মাধ্যমে সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সুমনের কথা মতো গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রাজাবাজার ব্র্যাক ব্যাংকের  কাছে যান রিফাতের বান্ধবী। এ সময় সুমন তার আরেক বন্ধু লিংকনকে নিয়ে সেখানে গেলে র‌্যাব তাদের গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে পূর্ব রাজাবারের এক বাসায় রিফাতের মৃতদেহ পাওয়া যায় বলে মো. রায়হান জানান।

    তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সুমন বলেছে, রিফাতকে অচেতন করে রাখতে অসুবিধা হওয়ায় বুধবার ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে সে। সুমন নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রিফাতের সঙ্গে প্রথম সেমিস্টর পযর্ন্ত পড়ালেখা করছিলেন। পরের সেমিস্টার গুলো তিনি আর শেষ করেননি। আর ঢাকা সিটি কলেজের ছাত্র লিংকন রাজাবাজারে এসেছিলেন সুমনের সঙ্গে টাকা নিতে। রিফাতের বাড়ি কক্সবাজার সদরে। ঢাকার গ্রীনরোডে কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।