শাহ আলমগীর বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক

    0
    568

    ডেস্ক নিউজঃ বিশিষ্ট সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীর বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবে ২০১৩ সালের ৭ই জুলাই যোগদান করেন।

    বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে পিআইবি মহাপরিচালকের চাকুরির মেয়াদ আর ও এক বছর বৃদ্ধি করেছে। বর্তমান মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে তিনি ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ০৭ তারিখ পর্যন্ত পিআইবি মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকবেন।

    ছাত্রজীবন থেকেই শাহ আলমগীরের সাংবাদিকতা পেশার শুরু। ৩৫ বছরের দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি একাধিক ইলেক্ট্রনিক ও প্রিণ্ট মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। পিআইবিতে যোগদানের পূর্বে তিনি সর্বশেষ এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। এখানে তিনি সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সাথে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা-সম্পাদক-এর দায়িত্ব পালন করেন।

    এরপর তিনি টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। চ্যানেল আই-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    জনাব আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিশু কল্যাণ পরিষদ এবং শিশু ও কিশোরদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ‘‌‌‌‌চাদের হাট’-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী’র পরিচালনা বোর্ডেরও সদস্য তিনি।

    সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘ চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভোকেশনাল এক্সিলেন্স এওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি এওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।

    পেশা ও ব্যাক্তিগত কাজে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে-রাশিয়া, আজারবাইজান, লাতভিয়া, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, জাপান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কেনিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, সুইজারল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফ্রান্স ও জার্মানী।

    ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন।

    এর বাইরে মস্কো ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম থেকে সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা  ও থমসন ফাউন্ডেশন পরিচালিত সাংবাদিকতায় উচ্চতর কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তাছাড়া বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সেও অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- করাচিতে সাউথ এশিয়ান ফ্রি মিডিয়া আয়োজিত ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিষয়ক কর্মশালা, ফিল্ম আর্কাইভস আয়োজিত ফিল্ম এপ্রিশিয়েসন কোর্স ও ভারতের গোয়ায় UNDP আয়োজিত “South Asian media and its role in attaining the Millennium Development Goal” শীর্ষক সম্পাদকদের কর্মশালা।

    পারিবারিক জীবনে তিনি এক পুত্র ও কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম কাজ করেন একটি ঔষধ কোম্পানীতে। ছেলে আশিকুল আলম দীপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ পাশ করে কাজ করছেন এইচএসবিসি ব্যাংকে। মেয়ে অর্চি অনন্যা আইইউবি’তে পড়ছেন সাংবাদিকতা বিভাগে। জনাব শাহ আলমগীরের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায়। তবে বাবার চাকরির সুবাদে তাঁর জীবনের একটি বড় অংশ কাটে বৃহত্তর ময়মনসিংহে।সুত্রঃ বা,প্রে,ই,