শার্শায় থাই-পেয়ারা চাষ করে স্বাবলম্বী হলেন নজরুল ইসলাম

    0
    184

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৯জুন,বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা  উপজেলায় থাই পেয়ারার চাষ ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। থাই পেয়ারার চাষে চাষীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। শার্শা  উপজেলার কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষীরা  থাই পেয়ারার চাষে ঝুঁকে পড়েছে।

    শার্শা  উপজেলায় বর্তমানে যে  সমস্ত  চাষীরা থাই পেয়ারার চাষ করে লাভবান বা স্বাবলম্বী হয়েছেন তাদের অনুসরণ করে থাই পেয়ারার চাষে ঝুঁকে পড়ার আশা ব্যক্ত করেছেন আরও কয়েকশ” চাষী। শার্শা  উপজেলার ডিহি ইউনিয়ন, নিজামপুর ইউনিয়ন, শার্শা ইউনিয়ন, উলাশী ইউনিয়ন, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন ও কায়বা ইউনিয়নের শতাধিক চাষী থাই পেয়ারার চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন।

    উলাশী ইউনিয়নের সম্বন্ধকাঠি গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ কৃষি কাজের সাথে জড়িত আছেন। অন্যান্য কৃষি কাজ করে তেমন কোন আর্থিক উন্নতি করতে পারেনি। উপজেলার কৃষি বিভাগের পরামর্শে থাই পেয়ারার চাষ শুরু করেছেন। অন্যের কাছ থেকে সাড়ে ৭’বিঘা জমি লিজ নিয়ে থাই পেয়ারার চাষ করে বিগত দিনের ধার-দেনা পরিশোধ করে তিনি এখন স্বাবলম্বী। সংসারের সমস্ত খরচ চালিয়ে তিনি এখন নগদ টাকা জমাতে শুরু করেছেন। নজরুলের ভাই ডালিম জানান, থাই পেয়ারার চাষ করে নগদ টাকা জমিয়ে একতলা বিল্ডিং সম্পন্ন করে দ্বিতল-বিল্ডিং-এর কাজে হাত দিয়েছেন।

    শার্শা  উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার জানান, শার্শা  উপজেলায় ১৯০’হেক্টর জমিতে থাই পেয়ারার চাষ করেছেনে শতাধিক চাষী। থাই পেয়ারার চাষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক চাষীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। থাই পেয়ারার চাষে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বছর ৮০-৯০’হাজার টাকা লাভ হয়। বাংলাদেশে থাই পেয়ারার চাষ বৃদ্ধি পেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব। থাই পেয়ারার স¦াদ ও গুণগত মান খুবই ভাল, তাই ভোক্তাদের কাছে এর চাহিদাও অনেক বেশী।